নিউ টাউনের এক চার্জিং স্টেশন। নিজস্ব চিত্র
অনুষ্ঠান দেখতে এসে এ বার চার্জিং পয়েন্টে ব্যাটারিচালিত গাড়ি চার্জ করিয়ে নেওয়া যাবে। কোনও শপিং মলে বাজার করতে ঢোকার আগেও নিজের ব্যাটারিচালিত গাড়িটি চার্জ করতে দিয়ে যেতে পারবেন।
তবে এই পরিষেবা মিলবে শুধু নিউ টাউন এলাকার নির্দিষ্ট কিছু জায়গায়। যেমন, রবীন্দ্র তীর্থ, শপিং মল, টাটা ক্যানসার হাসপাতাল, ইকো পার্কের গেট-সহ মোট ১০টি জায়গায় এই চার্জিং স্টেশন থাকবে। হিডকো সূত্রের খবর, নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ) এগুলি তৈরি করেছে। বেশ কিছু দিন আগে নিউ টাউনের এক পেট্রোল পাম্পে ব্যাটারিচালিত গাড়ির চার্জিং স্টেশন হয়েছিল।
তবে হিডকোর আধিকারিকেরা মানছেন, চার্জিং স্টেশনে গাড়ি পুরো চার্জ করানো সময়সাপেক্ষ। কারণ, গাড়ির ব্যাটারি সাধারণত কুড়ি থেকে পঁচিশ শতাংশ চার্জ দিতেই দু’ঘণ্টা সময় লাগে। খরচটাও সাধারণের নাগালের মধ্যেই। প্রতি ঘণ্টায় চার চাকার গাড়ি চার্জ করতে খরচ পড়ে কুড়ি টাকা। টোটোর ক্ষেত্রে দশ টাকা এবং সাইকেল এর ক্ষেত্রে লাগে এক টাকা প্রতি ঘণ্টায়। কেউ সিনেমা দেখতে বা কেনাকাটা করতে মলে ঢোকার আগে তাঁর গাড়ি চার্জে বসিয়ে যেতে পারেন। তেমনটা ভেবেই চার্জিং স্টেশনের স্থান নির্বাচন হয়েছে।
হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, ‘‘নিউ টাউনকে দূষণ মুক্ত রাখতে ইতিমধ্যে কয়েকটি ব্যাটারিচালিত বাস চালু করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকেও ব্যাটারিচালিত গাড়ি চালাতে উৎসাহ দিতে আপাতত ১০টি চার্জিং স্টেশন হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও স্টেশন তৈরি করা হবে।’’ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন পরিবেশকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ। তাঁদের মতে, পাশাপাশি, ব্যাটারিচালিত গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে হবে। তবেই কাজে আসবে চার্জিং স্টেশনগুলি।
চার্জিং স্টেশনগুলিতে গেলে সে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়। শহরে ব্যাটারিচালিত গাড়ির সংখ্যা খুব কম। ফলে বেশির ভাগ সময়েই তালাবন্ধ হয়ে পড়ে থাকে চার্জিং স্টেশন। কেউ গেলে, চাবি খোলানোর জন্য প্রতীক্ষা করতে হয়। এ কথা মানছেন হিডকোর আধিকারিকেরাও। তবে দেবাশিসবাবুর আশ্বাস, সবে তো প্রচেষ্টার শুরু। চার্জিং স্টেশনের এই পরিকাঠামো মানুষকে নিশ্চয়ই আরও উৎসাহিত করবে ব্যাটারিচালিত গাড়ি কিনতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy