শরীরে বাসা বাঁধা ক্যানসারের কোষকে ধ্বংস করতে এবং এর বিস্তার রুখতে কার্যকর কেমোথেরাপি। বহু রোগীর ক্ষেত্রেই সেই থেরাপির নির্দিষ্ট তারিখ পেরোলেও শয্যা মিলত না। ফলে, প্রতীক্ষারতদের তালিকাও দীর্ঘ হত। এ দিকে, কেমোথেরাপির শৃঙ্খল ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন ক্যানসার আক্রান্তেরা। সমস্যা দূর করতে পদক্ষেপ করেছে এসএসকেএম হাসপাতাল।
গত এপ্রিল থেকে পিজির অ্যানেক্স-৬, কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে চালু হয়েছে কেমোথেরাপির ডে-কেয়ার পরিষেবা। প্রাথমিক পর্যায়ে ৩২টি শয্যায় দৈনিক ৫০ জন রোগীকে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন পিজি-র রেডিয়োথেরাপি বিভাগের চিকিৎসকেরা। পুলিশ হাসপাতালের ওই ডে-কেয়ার কেন্দ্রে স্তন, ফুসফুস, হেড অ্যান্ড নেক, জরায়ু মুখের ক্যানসারের কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে।
পিজির রেডিয়োথেরাপি বিভাগে শয্যা রয়েছে ৫৮টি। ১৫ ও ২১ দিন অন্তর যাঁদের কেমোথেরাপি নিতে হয়, তাঁদের সকালে পিজিতে এসে অঙ্কোলজি ও রেডিয়োথেরাপি বিভাগে ভর্তি হতে হত। সকলেই যে শয্যা পেতেন, তেমনটা নয়। কারণ, ওয়ার্ডের সব শয্যাই ক্যানসারের রোগীতে ভর্তি থাকে। ফলে পরিষেবা না পেয়ে পরের তারিখের জন্য অপেক্ষা করতে হত। অনেক সময়ে আবার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর শয্যায় শুয়েও কেমোথেরাপি নিতে হত অন্য রোগীকে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সমস্যা হত প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহেও। দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করলেও কেমোথেরাপি নিতে আসা রোগীরা দুপুরে খাবার পেতেন না। গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেই পুলিশ হাসপাতালে ডে-কেয়ার পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছেন পিজি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।