Advertisement
E-Paper

ছাত্র খুন, ‘নৈরাজ্য’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিধাননগরে

ভরদুপুরে আচমকা স্লোগান দিতে দিতে বিকাশ ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়লেন জনা পঞ্চাশ যুবক। সবং-এ ছাত্র খুনের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে গেল বিক্ষোভ। উঠল শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও। বিক্ষোভকারীদের আটকানোর জন্য ছিল না কোনও পুলিশ। আচমকা এমন ঘটনায় তত ক্ষণে বিকাশ ভবনে কর্মরত সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে পথচারীরাও ভিড় করেছেন সেখানে। কয়েক জন পুলিশ কর্মী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন গোটা ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৫ ১৮:৪৮
সবং-এ ছাত্র খুনের ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ বিকাশ ভবনে।—নিজস্ব চিত্র।

সবং-এ ছাত্র খুনের ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ বিকাশ ভবনে।—নিজস্ব চিত্র।

ভরদুপুরে আচমকা স্লোগান দিতে দিতে বিকাশ ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়লেন জনা পঞ্চাশ যুবক। সবং-এ ছাত্র খুনের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে গেল বিক্ষোভ। উঠল শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও।
বিক্ষোভকারীদের আটকানোর জন্য ছিল না কোনও পুলিশ। আচমকা এমন ঘটনায় তত ক্ষণে বিকাশ ভবনে কর্মরত সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে পথচারীরাও ভিড় করেছেন সেখানে। কয়েক জন পুলিশ কর্মী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন গোটা ঘটনা। কিন্তু ওই যুবকদের আটকাতে এগিয়ে এলেন না কেউ। অল্প সময়ের জন্য বিকাশ ভবনের গেট আটকে দেওয়া হল।
শেষে স্থানীয় থানার আধিকারিকেরা এসে পরিস্থিতি সামাল দিলেন। তত ক্ষণে বিকাশ ভবন চত্বরেই শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুতুল জ্বলল। যদিও শিক্ষামন্ত্রী সে সময়ে বিকাশ ভবনে তাঁর দফতরে ছিলেন না।
বুধবার দুপুর দেড়টার পরে এ ভাবেই আধ ঘণ্টার জন্য বিকাশ ভবনে প্রতিবাদ জানালেন কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা। এর পরে বিকাশ ভবনের সামনের রাস্তায় বসে পড়ে অবরোধ শুরু করে দেন তাঁরা। পরে পুলিশের অনুরোধে সেখানে থেকে উঠে গিয়ে মিছিল করে তাঁরা ময়ূখ ভবনের সামনে বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তির পাদদেশে যান। সেখানেই প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষ হয়।
এই বিক্ষোভে হাজির ছিলেন ঋজু ঘোষাল, ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, সংগঠনের উত্তর ২৪ পরগনার সভাপতি বিকাশ গোরে, কল্যাণ কর প্রমুখ।
ছাত্রনেতাদের অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে নৈরাজ্য চলছে। সবং-এ ছাত্র খুন, রায়গঞ্জে ছাত্রদের উপর গুলিচালনার ঘটনা তার একটা উদাহরণ মাত্র। প্রতিকার দূর অস্ত্, তদন্তের আগেই তদন্ত শেষ করতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জেলার এসপি ভারতী ঘোষের বয়ান সে কথাই প্রমাণ করে।

বিক্ষোভ থেকে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলেন ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা ঋজু ঘোষাল জানান, যে ভাবে এক জন জেলা পুলিশ সুপার শুরুর আগেই তদন্তের অভিমুখ ঠিক করে দিলেন, তা অভাবনীয়। ওই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে মামলাও করা হবে।

কিন্তু এই ঘটনাতেই সল্টলেকে সরকারি অফিসগুলির সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ কর্মসূচির কোনও খবরই ছিল না পুলিশের কাছে। শুধু তাই নয়, বিক্ষোভের সময়ে নজরে পড়েনি বিকাশ ভবনের প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সির লোকজনদেরও।

যদিও সল্টলেক পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, ময়ূখ ভবন থেকে ওই অফিসপাড়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা রয়েছে। সেখানে পুলিশের অনুমতি না নিয়েই এই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। কেন পুলিশের কাছে আগাম খবর এল না তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে ১৪৪ ধারা ভেঙে এই বিক্ষোভ করায় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

cp bikash bhawan chhatra parisad bikash bhawan sabang muder bikash bhawan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy