Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

১৬ ঘণ্টা ঘুরে ভর্তি হল শিশু

সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত ওই শিশু কিছু দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল, সঙ্গে খিঁচুনি। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে সায়ন আনসারি নামে ওই শিশুকে বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজিতে (বিআইএন) রেফার করা হয়।

এসএসকেএম হাসপাতাল।—ফাইল চিত্র।

এসএসকেএম হাসপাতাল।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫৫
Share: Save:

দিন পাঁচেক আগেই হাওড়ার শরৎ সদনের প্রশাসনিক বৈঠকে রোগীকে ভর্তি করানোর প্রশ্নে সরকারি হাসপাতালগুলিকে ‘মানবিক’ হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরেও সাড়ে তিন বছরের শিশুকে ভর্তি করাতে গিয়ে ১৬ ঘণ্টা এসএসকেএমের দুই বিভাগে চক্কর কাটার অভিযোগ করলেন মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা ওই শিশুর মামা সইফুল আনসারি।

সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত ওই শিশু কিছু দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল, সঙ্গে খিঁচুনি। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে সায়ন আনসারি নামে ওই শিশুকে বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজিতে (বিআইএন) রেফার করা হয়। শনিবার রাতে বাবা রফিকুল ইসলাম আনসারি, মা সাহিনা বিবি এবং মামার সঙ্গে ট্রেনে শিয়ালদহ পৌঁছয় শিশুটি। প্রথমে ভুল করে টালিগঞ্জের এম আর বাঙুরে যায় পরিবার। সেখান থেকে বিআইএনে যায়। শিশুর মামা জানান, সেখানকার নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের এসএসকেএমের জরুরি বিভাগে পাঠায়। সেখান থেকে অ্যালেক্স ওয়ার্ডের শিশুরোগ বিভাগে পাঠানো হয়। সইফুলের অভিযোগ, ‘‘রাতভর কোলের শিশুকে নিয়ে দুই বিভাগে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। সকাল থেকে এক জিনিস শুরু হয়। দুপুরে খিঁচুনি ওঠায় ভাগ্নের শরীর আরও খারাপ হয়।’’

বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই শিশুটিকে কর্তৃপক্ষ ভর্তি করে নেন। তবে সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি জানানোয় অ্যালেক্স ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকর্মীরা দুর্ব্যবহার করেন বলে পরিবারের অভিযোগ। এমনকি শিশুটির মা ছেলের চিকিৎসা না করিয়েই ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। সুপার রঘুনাথ মিশ্র বলেন, ‘‘যতদূর জানি অ্যালেক্স ওয়ার্ডে শিশু ভর্তি হয়েছে। দুর্ব্যবহারের অভিযোগ পাইনি।’’ চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, বোঝাপড়ার অভাবেই দুর্ভোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cerebral Palsy SSKM Child
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE