কোলে মার্কেটে লঙ্কা বিক্রি। নিজস্ব চিত্র
বাজারে কাঁচা লঙ্কার দামে কার্যত ‘আগুন’ লেগেছে। মুখে ঝাল লাগার কথা তো কামড় দেওয়ার পরে, তার আগেই দামের আগুনে যেন হাতে-মুখে ছ্যাঁকা লাগার জোগাড়। বাজার বিশেষজ্ঞদের কথায়, ‘‘এ বছর গরমে চাহিদার তুলনায় জোগানে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেওয়াতেই লঙ্কার দাম এখন লাগামছাড়া!
উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতার খুচরো বাজারগুলিতে প্রতিদিনই লঙ্কার দাম বেড়ে চলেছে। গত এক মাসের মধ্যে শহরে কাঁচা লঙ্কা ৮০ টাকা কেজি থেকে ধাপে ধাপে বেড়ে এখন ১২০-১৫০ টাকা কেজিতে গিয়ে ঠেকেছে। এমনকি সরকারি উদ্যোগে কৃষক সংগঠনগুলি দ্বারা পরিচালিত কলকাতার ‘সুফল বাংলা’ বিপণন কেন্দ্রগুলিতেও ১০০ টাকার উপরেই লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখনই দাম কমার কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না।
বর্ষার আগে মে-জুন মাসে সাধারণত কলকাতায় লঙ্কার অনেকটা চাহিদা মেটায় মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও শিলিগুড়ি। বাকি অংশ আমদানি করা হয় রাঁচি, বিহারের পূর্ণিয়া ও অসমের কয়েকটি জায়গা থেকে। কিন্তু মে মাসে টানা গরমে রাজ্যের লঙ্কা চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি নদিয়া, মুর্শিদাবাদেও বহু জায়গাতে লঙ্কার বদলে চাষিরা পেঁয়াজ চাষ করায় জোগানে টান পড়েছে। যে কারণে পাইকারি বাজারগুলিতে রাজ্যের লঙ্কা ‘বাড়ন্ত’! ফলে বাইরের লঙ্কার উপরেই এখন বেশি নির্ভর করতে হচ্ছে বলে দামও চড়ছে। আবার চাহিদা মতো তার জোগানও অনেকটা কম।
কাঁচা আনাজের কলকাতার সব থেকে বড় পাইকারি বাজার কোলে মার্কেটের পরিচালন ব্যবস্থাপনার এক কর্তা জানাচ্ছেন, ছোট যে কয়েক গাড়ি লঙ্কা আসছে, তাতে চাহিদা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে পাইকারি দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
রাজ্য সরকারের আনাজের দাম সংক্রান্ত যে টাস্ক ফোর্স আছে তার সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, লঙ্কা ফলনে ঘাটতি হওয়ায় বাজারে দাম যে চড়ছে সেই সমস্যাটি তাঁরাও শুনেছেন। বিষয়টি তাঁরা সরকারকেও জানাবেন।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy