জলমগ্ন রাস্তা। বৃহস্পতিবার, পার্ক সার্কাসে। — নিজস্ব চিত্র
দুপুর থেকেই শহরের আকাশ ছিল মেঘলা। দুপুরেই ঝেঁপে নামল বৃষ্টি। শহরে রাজনৈতিক জমায়েত ঘিরে দুর্ভোগ আগে থেকেই ছিল। এর সঙ্গে ঘণ্টাখানেক প্রবল বৃষ্টিতে যানজটে আটকে রইল শহর। বৃহস্পতিবার এই দুই কারণে দুর্ভোগে পড়লেন বহু মানুষ। সন্ধের পরে যানজট কমলেও যানবাহনের গতি শ্লথ ছিল।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ দিন কংগ্রেস কর্মীরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখান। তার ফলে উত্তর থেকে দক্ষিণে দুপুরের পর থেকেই পথ অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এই জায়গাগুলি হল চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ-এ বিজেপি-র দলীয় অফিস, হাজরা মোড়, রাজাবাজার, এপিসি রায় রোড, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়, ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক, কলেজ স্ট্রিট ও বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের মোড়। এ দিন ধর্মতলায় আড়াইটে নাগাদ এসইউসিআই-এর প্রায় ২০ জন কর্মীও পথ অবরোধ করেন।
লালবাজার সূত্রে খবর, কংগ্রেস কর্মীদের দীর্ঘক্ষণের জমায়েত ছিল চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে। বিজেপি অফিসের সামনে শ’খানেক কর্মী জমায়েত করেন একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত। ফের দুটো থেকে আড়াইটে পর্যন্ত। জমায়েতের জেরেই গোটা মধ্য কলকাতা কার্যত অবরুদ্ধ ছিল। এই সময়ে বৃষ্টি নামায় চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের একাংশে জল জমে যায়। গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়ার ফলেও যানজট হয়।
এ দিন দুপুরে ঘণ্টা খানেকের বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে যায় বালিগঞ্জ, হাঙ্গারফোর্ড এবং লাউডন স্ট্রিটের মধ্যবর্তী অংশ, পার্ক সার্কাস, সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ, নিউ রোড এবং বর্ধমান রোডের সংযোগস্থল, বর্ধমান রোড, ভবানীপুরের গাঁজা পার্ক-সহ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশেও। বৃষ্টিতে পার্ক সার্কাসে একটি স্কুলের সামনে একটি বড় গাছও পড়ে যায়।
নিকাশি দফতরের এক আধিকারিক জানান, দক্ষিণে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল বেশি। পুরসভার হিসেবে এ দিন সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বালিগঞ্জে। এখানে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৬০ মিলিমিটার। জল জমার জেরে পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়, মৌলালি, ক্যামাক স্ট্রিট, গড়িয়াহাট রোড, এবং রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে যানজট তৈরি হয়। পুলিশ কর্তাদের দাবি, রাত আটটার পর শহরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy