স্কুল ও কলেজে ই-ক্লাস রুম করতে উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। উদ্দেশ্য, পঠনপাঠনে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো। সেই উদ্যোগেই এক ধাপ এগিয়ে পৃথক ই-বিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিল দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠ। এ রাজ্যে সরকার পোষিত একটি বাংলা মাধ্যমের স্কুলের এমন ভাবনাকে স্বাগত জানাচ্ছে রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতর।
ইতিমধ্যেই স্কুল ভবন সংস্কার করতে স্কুলশিক্ষা দফতর ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার অনুমোদন দিয়েছে। সেই টাকা থেকেই মূল ভবন সংস্কারের পাশাপাশি নতুন এই চারতলা ই-বিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুল সূত্রে খবর, মূল ভবনের পাশেই পাঁচ কাঠা ফাঁকা জমিতে তৈরি হবে এই বিল্ডিং। এই বিল্ডিংয়ের একতলায় থাকবে ইন্ডোরে খেলার ব্যবস্থা। দোতলার একটি বড় ঘরে থাকবে কম্পিউটার। সেখানে ৭০-৮০টি কম্পিউটার থাকবে। যেখানে গিয়ে পড়ুয়ারা ইন্টারনেট পরিষেবাকে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছে মতো ‘সেল্ফ স্টাডি’ করতে পারবে। সেখানেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে পড়াশোনা নিয়ে আলোচনাও করতে পারবে তারা।
তিনতলায় থাকছে ডিজিটাল ক্লাসঘর। সেখানে পড়ুয়ারা পুরোদস্তুর ই-লার্নিং করতে পারবে। প্রোজেক্টর, কম্পিউটার সবই থাকবে সেখানে। গত বছর হিন্দু স্কুলে এ রকম একটি ক্লাসের উদ্বোধন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চারতলায় থাকবে অত্যাধুনিক গবেষণাগার। পড়ুয়ারা সেখানে ইচ্ছে মতো গবেষণা করতে পারবে। গবেষণায় তৈরি জিনিস রাখা থাকবে গোটা বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে। এ ভাবে তাঁদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি তৈরি জিনিস কাজে লাগানোও অন্য উদ্দেশ্য। সম্প্রতি লখনউতে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলায় এ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা তাদের তৈরি জিনিস নিয়ে গিয়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই স্কুলের পড়ুয়াদের তৈরি জিনিসও সে ভাবেই প্রদর্শিত করা হবে।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য জানান, ইতিমধ্যে স্কুলের মূল ভবনের কয়েকটি ক্লাসে ই-লার্নিং পদ্ধতি শুরু হয়েছে। তবে পুরো বিল্ডিংকে ডিজিটাল পদ্ধতি দিয়ে মুড়ে ফেলতে পারলে পড়ুয়ারা আরও উপকৃত হবে। সে কারণেই এই ভাবনা।
জেলা স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘কলকাতায় এ রকম পৃথক ই-বিল্ডিং রয়েছে বলে জানা নেই। এই উদ্যোগ বেশ ভাল।’’ হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনীল দাস বলেন, ‘‘খুবই ভাল উদ্যোগ। সরকারও চাইছে পঠনপাঠনে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হোক। আমাদের স্কুলেও প্রযুক্তির ব্যবহার হয়। তবে পৃথক ই-বিল্ডিং নেই।’’ মিত্র ইনস্টিটিউশনের (ভবানীপুর) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইনাম হোসেন বলেন, ‘‘এটা খুবই ভাল উদ্যোগ। বেশ কয়েকটি ক্লাসে আমরাও ই-লার্নিং পদ্ধতি শুরু করেছি। সরকার আর্থিক সাহায্য করলে আমরাও এ ভাবে প্রযুক্তিনির্ভর পরিকাঠামো করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy