Advertisement
E-Paper

যানজটে ক্ষোভ, নিগ্রহ সিভিক ভলান্টিয়ারকে

সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের ঘটনা অবশ্য প্রথম নয়। কিছু দিন আগেও এক অটোচালকের হাতে মার খেতে হয়েছিল এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। রাজনৈতিক চাপে সেই ঘটনার কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৭

একে রাস্তা খারাপ, তার উপরে যানজট। তাতেই অসহিষ্ণু হয়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে পেটানোর অভিযোগ উঠল উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বারাসত-টাকি রোডের বেড়াচাঁপা চৌরাস্তায়। পুলিশ সূত্রের খবর, যানজট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করেন আনাজ ব্যবসায়ী ও জনতা। ঘটনাস্থল থেকে ভয়ে পালিয়ে যান অন্য সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। পরে দেগঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের ঘটনা অবশ্য প্রথম নয়। কিছু দিন আগেও এক অটোচালকের হাতে মার খেতে হয়েছিল এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। রাজনৈতিক চাপে সেই ঘটনার কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এ দিন কামারুজ্জামান নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে চড় মারেন আনাজ ব্যবসায়ীরা। কামারুজ্জামানের অভিযোগ, ‘‘চার দিকে গাড়ির লাইন। নিয়ম মেনে গাড়িগুলো ছাড়ছিলাম। কিছু গাড়ি আগে ছাড়ার দাবিতে মারধর শুরু করে।’’ আর এক সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, ‘‘আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ দিকে নজর দিন।’’

বেড়াচাঁপা চৌরাস্তা থেকে বারাসত-টাকি রোড ভাগ হয়ে এক দিক হাড়োয়ায়, অন্য দিকে হাবরায় চলে গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন ওই চৌরাস্তায় তীব্র যানজটে নাকাল হতে হয়ে

পড়ুয়া-সহ নিত্যযাত্রীদের। পুলিশের দাবি, গাড়ির সংখ্যা বাড়ার কারণেই এমন যানজট। সমস্যা কাটাতে প্রশাসনের তরফে সকাল-বিকেল প্রায় ১২ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে ওখানে নিয়োগ করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অটো, টোটো ও ভ্যানরিকশার জন্যই প্রতিদিন বারাসত-টাকি রোড অবরুদ্ধ হয়ে থাকে। অথচ প্রশাসন নির্বিকার।

বেড়াচাঁপা উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী হেনা পরভিন জানায়, স্কুলের পথে যে ভাবে যানজট হয় তাতে মাঝে মাঝে আধ ঘণ্টাও দেরি হয়ে যায়। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কলকাতা, বিহার, আরামবাগ, ধূলাগড়ে আনাজের গাড়ি যায়। ওই রাস্তা দিয়ে হাট থেকেও ব্যবসায়ীরা ছোট গাড়িতে আনাজ নিয়ে যান। এক ব্যবসায়ীর কথায়, দ্রুত পৌঁছলে ভাল দাম পাওয়া যায়। যানজটে প্রতিদিন গাড়ি আটকে ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়।

এ প্রসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘সিভিক ভলান্টিয়ারের গায়ে হাত দেওয়া অন্যায়। যাঁরা মারধর করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Beating Civic Volunteer
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy