সন্দেশখালির শাহজাহান শেখের মামলার অন্যতম সাক্ষী ভোলা ঘোষের গাড়িতে ধাক্কা মারা ট্রাকের খালাসিকে গ্রেফতার করল ন্যাজাট থানার পুলিশ। তাদের দাবি, ওই ট্রাকের স্থায়ী খালাসি গোলাম হোসেন মোল্লা। তবে ঘটনার দিন তিনি ট্রাকে ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই নিয়ে এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হল। যদিও এখনও ঘাতক ট্রাকের চালক অধরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার গোলামকে হাসনাবাদ থানার খরমপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ট্রাকের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে গোলামের কথা জানতে পারে পুলিশ। তার পর থেকে তাঁর মোবাইলে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। তাঁর মোবাইলের টাওয়ারের লোকেশনের তথ্যের ভিত্তিতে গোলামকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই ট্রাকের খালাসি হলেও তিনি সে দিন ট্রাকে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। ধৃতের মা সাহিলা বিবির কথায়, ‘‘যে দিনের ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, ওই দিন গাড়িতে যায়নি গোলাম। এমনকি, এলাকাতেও ছিল না।’’
বুধবার সকালে ভোলার চারচাকার গাড়ি বাসন্তী হাইওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উল্টোদিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে গাড়িটি। লরিটিও জলে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়িচালক এবং ভোলার কনিষ্ঠ পুত্রের। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন ভোলাও। তাঁর অভিযোগ, শাহজাহান মামলার সাক্ষী হওয়াতেই তাঁকে খুন করার ছক কষা হয়েছিল। ভোলার বড় ছেলের দাবি, শাহজাহানের বিরুদ্ধে যাতে সাক্ষী দিতে না-পারেন তাই তাঁর বাবাকে খুন করার চেষ্টা হয়। দুর্ঘটনায় ছোট ছেলেকে হারিয়েছেন ভোলা। বুধবারের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাজবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
শনিবার এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করে ন্যাজাট থানার পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন উত্তম সর্দার ওরফে সুশান্ত। গত বছর শাহজাহানের বাড়িতে ইডির উপর হামলার অভিযোগে সে সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়াও, রুহুল কুদ্দুস শেখ নামে আরও এক জনকে ধরেছে পুলিশ। রবিবার গোলামকে ধরল তারা। ধৃতকে রবিবারই বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত তাঁকে আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।