রাস্তায় নেমে যাঁরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করেন, এ বার ট্রাফিকের সেই নিচুতলার কর্মীদের কাছে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য পরামর্শ চাইলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
লালবাজার সূত্রে খবর, সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার ট্রাফিক বিভাগের সব গার্ডের ওসি ও এসিদের তাঁদের গার্ডের নিচুতলার কর্মীদের এ কথা জানানোর নির্দেশ দেন। সিপি-র ইচ্ছের কথা ইতিমধ্যে নিজের গার্ডের অধস্তন অফিসার ও কর্মীদের জানিয়েও দিয়েছেন ঊর্ধ্বতন অফিসারেরা। কর্মীরা যাতে সরাসরি মাঠে-ময়দানে কাজের অভিজ্ঞতা সিপি-র সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন, তাই এই সিদ্ধান্ত বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষকর্তার অবশ্য দাবি, প্রস্তাব চাওয়ার মাধ্যমে এ ভাবেই নিচুতলার কর্মীদের জন্য নিজের দরজা খুলে দিলেন পুলিশ কমিশনার। যাতে নিচুতলার সঙ্গে সরাসরি যোগ থাকে শীর্ষ কর্তাদের।
রাজীব কুমার পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই ট্রাফিক বিভাগকে কলকাতা পুলিশের ‘মুখ’ বলেছিলেন ও ট্রাফিক পুলিশকে চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। প্রথমেই ট্রাফিক জরিমানা আদায়ের উপরে জোর না দিয়ে গোটা ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নতি করতে চেয়েছিলেন তিনি।
পুলিশকর্তাদের একাংশের মতে, সিপি মনে করেন পুলিশ বলতে সবার আগে ট্রাফিক পুলিশকেই বোঝেন সাধারণ মানুষ। কারণ, রাজপথে মূলত তাঁদেরই দেখা মেলে। তাই পুলিশের ‘মুখ’কে আরও নির্ভরযোগ্য ও ঝকঝকে করে তুলতেই এ বার নিচুতলার কর্মীদের কাছে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে পরামর্শ চাইছেন পুলিশ কমিশনার। পাশাপাশি, উন্নত প্রযুক্তি এলেও রাজপথে যান চলাচল ব্যবস্থার মেরুদণ্ড কিন্তু ট্রাফিক বিভাগের এই কর্মীরাই। এক ট্রাফিক পুলিশ কর্তা জানান, রোদ-ব়ৃষ্টিতে সার্জেন্ট, ট্রাফিক কনস্টেবল কিংবা হোমগার্ডেরাই রাস্তায় থেকে সব কিছু সামলান। তাই ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতিতে নিচুতলার কর্মীদের সামিল করতে এবং তাঁদের মতামত জানতে চেয়েছেন সিপি। এ ছাড়াও পুলিশের কর্তারা মনে করছেন, সরাসরি নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে এ বার নিজেকে বাহিনীর কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে চাইছেন রাজীব কুমার।
কী ভাবে পুলিশ কমিশনারকে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে পরামর্শ বা প্রস্তাব দেবেন নিচুতলার কর্মীরা? ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাফিক বিভাগের যে কোনও কর্মী বা অফিসার সরাসরি লিখিত ভাবে প্রস্তাব পাঠাতে পারেন কমিশনারকে। আবার গার্ডের আধিকারিকদের মাধ্যমে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেও প্রস্তাব পাঠানো যাবে। সেগুলি দেখে প্রয়োজনে ওই কর্মীকে ডেকে কথাও বলবেন সিপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy