Advertisement
E-Paper

রোগীর মৃত্যুতে তুলকালাম

নীলাদ্রিবাবু বলেন, ‘‘বাবার মৃত্যুর জন্য ডাক্তারেরা দায়ী। চিকিৎসা ঠিক মতো হয়নি।’’ তাঁর দাবি, ভাঙচুর করা হয়নি। হেনস্থার অভিযোগও ঠিক নয়। মৃতের পরিবারের সদস্য বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ সুস্থ না হলেও কেন রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হল? এখানেই তো হাসপাতালের গাফিলতি।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৫৪
ঘটনার পরে পুলিশের সঙ্গে নীলাদ্রি ও হিমাদ্রি চট্টোপাধ্যায়। সোমবার, পিয়ারলেস হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

ঘটনার পরে পুলিশের সঙ্গে নীলাদ্রি ও হিমাদ্রি চট্টোপাধ্যায়। সোমবার, পিয়ারলেস হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে এক রোগীর মৃত্যু ঘিরে শনিবার বিক্ষোভ-গোলমাল হয়েছিল বি পি পোদ্দার হাসপাতালে। দু’দিনও কাটল না, ফের একই ঘটনা এবং একই অভিযোগ। আবারও হাসপাতালে ভাঙচুর এবং এক মহিলা কর্মীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে। সোমবার, পিয়ারলেস হাসপাতালের ঘটনা।

পুলিশ জানায়, বাঘা যতীনের বাসিন্দা ননীগোপাল চট্টোপাধ্যায় (৬৯) জুলাই ও অগস্ট মাসে দু’দফায় হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার তিনি ছাড়া পান। সোমবার বুকে ব্যথা হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসছিলেন পরিজনেরা। পুলিশের অনুমান, পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত্যুর কথা জানাতেই কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ফোন ভেঙে ফেলার অভিযোগ ওঠে ননীগোপালবাবুর দুই ছেলে নীলাদ্রি এবং হিমাদ্রি চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এমনকী, মৃতের স্ত্রী রিনা চট্টোপাধ্যায় হাসপাতালের এক মহিলা কর্মী নেপ্রাম ভবানীকে হেনস্থা করেন বলেও অভিযোগ।

নীলাদ্রিবাবু বলেন, ‘‘বাবার মৃত্যুর জন্য ডাক্তারেরা দায়ী। চিকিৎসা ঠিক মতো হয়নি।’’ তাঁর দাবি, ভাঙচুর করা হয়নি। হেনস্থার অভিযোগও ঠিক নয়। মৃতের পরিবারের সদস্য বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ সুস্থ না হলেও কেন রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হল? এখানেই তো হাসপাতালের গাফিলতি।’’

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ১৯ থেকে ৩১ জুলাই ও ১ থেকে ১২ অগস্ট পর্যন্ত দু’দফায় সেখানে ভর্তি ছিলেন প্রাক্তন পুলিশকর্মী ননীগোপালবাবু। হাসপাতালের সিইও (মেডিক্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) সিঞ্চন ভট্টাচার্য জানান, তাঁর হার্ট, কিডনি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের একাধিক সমস্যা ছিল। বয়সজনিত রোগও ছিল। তিন জন চিকিৎসক এক সঙ্গে চিকিৎসা করেছিলেন। সুস্থ হওয়ায় তাঁকে ছাড়া হয়েছিল। সিঞ্চনবাবুর দাবি, এই সব সমস্যা পুরো মেটে না। যে কোনও সময়ে ফের হয়।

সিইও জানান, এ দিন হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, ‘‘মৃতের পরিবারের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি। কিন্তু তাঁদেরও বুঝতে হবে, কিছু হলেই এ ভাবে ভাঙচুর চালানো বা হাসপতালের কর্মীদের হেনস্থা করা ঠিক নয়।’’ থানায় অবশ্য দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সব দিকই খতিয়ে
দেখা হচ্ছে।

Peerless Hospital Medical Negligence Health পিয়ারলেস হাসপাতাল
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy