দেরিতে পোর্টাল খোলার পরে শনিবার দুপুর পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও বিজ্ঞান মিলিয়ে ৫০০র কাছাকাছি আবেদন জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। কলা বিভাগের ৩০০র কাছাকাছি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর্টসে ৩ জুলাই ও বিজ্ঞানে ৪ জুলাই পর্যন্ত আবেদন জানানো যাবে। অন্য বারের মতো সাড়া মিলবে কি না, এখনই পুরোটা বোঝা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন যাদবপুরের অধ্যাপকদের একাংশ।
সাধারণত ৩৫০০-৪০০০ আবেদন জমা পড়ে যাদবপুরে ইংরেজিতে। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, অঙ্ক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইতিহাস, সমাজতত্ত্বেও ১০০০এর বেশি আবেদন জমা পড়ে থাকে। কোনও বেসরকারি বা স্বশাসিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশি টাকা দিয়ে ভর্তি হয়ে গেলে সেই শিক্ষার্থীর পরে ইচ্ছে থাকলেও যাদবপুরে ভর্তি হওয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। তা ছাড়া, বিজ্ঞানের বিষয়গুলিতে চূড়ান্ত তালিকা কবে ঠিক হবে, তাও এখনই বোঝা শক্ত। পশ্চিমবঙ্গে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল কবে বেরোবে ঠিক নেই। বিজ্ঞানের ভর্তি তালিকাও জয়েন্টের কৃতী তালিকার সঙ্গে জড়িয়ে। জয়েন্টের ফল প্রকাশে দেরিতে শিক্ষার্থীরা ভিন রাজ্যে বা অন্যত্র কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে চলে যেতে পারেন। আবার পরে জয়েন্টে পেয়ে যাদবপুর, কলকাতার বিএসএসি ক্লাস ছেড়ে কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলে ওই আসনগুলি শূন্য হয়ে থাকবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তথা পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘পড়ানো এগিয়ে গেলে শূন্য আসনে প্রতীক্ষা তালিকায় থাকা কাউকে ভর্তি করা ঠিক হবে না। তাতে পড়ুয়ার প্রতিও সুবিচার হয় না।’’ রবিবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকে প্রবেশিকা পরীক্ষাও হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)