৯ ও ১১ নম্বর লাউডন স্ট্রিট। দক্ষিণ কলকাতার এই দু’টি ঠিকানায় রয়েছে এক বেসরকারি হাসপাতাল এবং একটি নামী বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। সোমবার রাতে কলকাতা পুরসভা শহরের ২৫টি ঠিকানায় মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট জ়োনের যে তালিকা ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে থাকা এই দু’টি ঠিকানা ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ওই তালিকায় থাকা ১৯০-১৯৪ মানিকতলা মেন রোডের ঠিকানা-বিভ্রাটকে কেন্দ্র করেও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।
সোমবার পুরভবনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম ২৫টি মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট জ়োনের তালিকা ঘোষণা করেন। রাজ্য সরকারের ‘এগিয়ে বাংলা’ ওয়েবসাইটে গিয়ে তালিকাটি যে কেউ দেখতে পারবেন। সেই তালিকার এক নম্বরে থাকা ১৯০-১৯৪ নম্বর মানিকতলা মেন রোডের বাসিন্দা করোনা আক্রান্তদের বস্তিবাসী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আদতে ওই ঠিকানায় কোনও বস্তিই নেই। আছে কয়েকটি দোকান। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ‘উলটপুরাণ’-এর সেই ছবিই চোখে পড়ল।
এ দিন কাঁকুড়গাছি মোড়ে ১৯০-১৯৪ মানিকতলা মেন রোডের ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একাধিক দোকান রয়েছে। মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট জ়োনে পুলিশের যে ঘেরাটোপ থাকার কথা, তেমন কিছুও সেখানে চোখে পড়েনি। এক দোকানি বললেন, ‘‘সোমবার রাতে পুলিশ এসেছিল। আমরা পুলিশকে জানাই, ১৯০-১৯৪ নম্বর মানিকতলা মেন রোডে আমাদের কয়েকটি দোকানই শুধু রয়েছে। পুলিশ অনেক রাত পর্যন্ত খুঁজেও করোনা আক্রান্ত কাউকে না পেয়ে চলে গিয়েছে।’’ স্থানীয় ফুলবাগান থানার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘পুরসভা যে তথ্য দিয়েছে, তাতে ওই ঠিকানায় আমরা কোনও কোভিড
আক্রান্তকে খুঁজে পাইনি।’’ ওই বরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ্যকিশোর রাউতের অবশ্য দাবি, ‘‘ওই দোকানগুলির পিছনে একই ঠিকানায় একটি আবাসনও রয়েছে। সেখানেই একাধিক জন করোনায় আক্রান্ত।’’ বরো চেয়ারম্যান এই তথ্য দিলেও ওই ঠিকানায় করোনা আক্রান্ত আদৌ কেউ আছেন কি না, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশেরও তা জানা নেই।