Advertisement
E-Paper

বন্ধ হয়নি এখনও, টিমটিম করেই চলছে শহরের শারীরচর্চা কেন্দ্র

লোক কম এলেও তাঁরা এখনই জিম বন্ধ করে দিতে পারছেন না বলেই জানালেন শহরের কয়েকটি জিমের মালিকেরা।

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২১ ০৬:২২
প্রতীক্ষা: সংক্রমণের ভয়ে অধিকাংশ জিম এমনই ফাঁকা। ছবি: সুমন বল্লভ।

প্রতীক্ষা: সংক্রমণের ভয়ে অধিকাংশ জিম এমনই ফাঁকা। ছবি: সুমন বল্লভ।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ফের বেসামাল শারীরচর্চা। শহরের অধিকাংশ জিমের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, তাঁরা এখন উভয়সঙ্কটে। পরিস্থিতি ক্রমে খারাপের দিকে গেলেও সরকার এখনও জিম বন্ধ করার নির্দেশ দেয়নি। তাই জিম খোলা রাখতে হচ্ছে। অথচ, করোনার আতঙ্কে জিমে এখন সদস্য-সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে। জিম খোলা রাখার খরচটাও উঠে আসছে না।

কেষ্টপুর এলাকার একটি জিমের কর্তা সায়ন সেনগুপ্ত জানালেন, প্রথম পর্যায়ে করোনার প্রকোপ একটু একটু করে যখন কমছিল, তখন তাঁরা আশার আলো দেখতে শুরু করেছিলেন। বিশেষ করে, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে জিমে ভিড় বেড়েছিল। সায়ন বলেন, “গত বছর অতিমারির অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ বুঝতে শিখেছিল যে, সুস্থ ভাবে বাঁচতে হলে নিয়মিত শারীরচর্চার প্রয়োজন। তাই অনেকেই নতুন করে জিমে ভর্তি হতে শুরু করেন। ব্যবসাটা যখনই একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করল, তখনই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় আমরা আবার বেসামাল।”

তবে লোক কম এলেও তাঁরা এখনই জিম বন্ধ করে দিতে পারছেন না বলেই জানালেন শহরের কয়েকটি জিমের মালিকেরা। তাঁরা জানালেন, অধিকাংশ জিমেই গ্রাহকেরা ভর্তি হন নানা রকম প্যাকেজে। অনেকে এককালীন ছ’মাসের ফি দিয়ে ভর্তি হন। কেউ ভর্তি হন এককালীন এক বছরের
ফি দিয়ে। এর কারণ, এক বারে ছ’মাস বা এক বছরের টাকা দিয়ে দিলে খানিকটা ছাড় পাওয়া যায়। সেই কারণে মুষ্টিমেয় কয়েক জন এলেও জিম খোলা রাখতেই হচ্ছে। তবে এর পরে জিম বন্ধ রাখার সরকারি ঘোষণা বা লকডাউন হলে অবশ্য সে অন্য কথা।

তবে গ্রাহকদের মধ্যে যাঁরা প্যাকেজে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদেরও অনেকে জিমে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনই এক জন নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বললেন, “প্যাকেজ ব্যবস্থায় ভর্তি হয়েছি ঠিকই, কিন্তু করোনার এই পরিস্থিতিতে জিমে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। মাস্ক পরে ব্যায়াম করা যায় না। ব্যায়াম করার সময়ে প্রশিক্ষককে বিভিন্ন বিষয় দেখিয়ে দিতে শিক্ষার্থীর কাছাকাছি আসতেই হয়। শারীরিক দূরত্ব সব সময়ে বজায় থাকে না।”

যাদবপুরের একটি জিমের কর্ণধার দেবার্ঘ্য সেনগুপ্ত বললেন, “গ্রাহক কমে গেলেও কোভিড-বিধি মেনেই জিম চলছে। থার্মাল গান দিয়ে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা হচ্ছে। তার পরে প্রত্যেককেই স্যানিটাইজ়েশন গেট পেরিয়ে ভিতরে ঢুকতে হচ্ছে। এমনকি, পালস-অক্সিমিটার দিয়েও সবাইকে পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’ দেবার্ঘ্যের কথায়, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে এসি-তে ব্যায়াম করা ঝুঁকির। তাই তা বন্ধ রাখা হয়েছে। আমাদের জিম থেকে সংক্রমণের কোনও ভয় নেই বলেই গ্রাহকদের আশ্বাস দিচ্ছি। তবু মানুষের আতঙ্ক কাটছে না।” দেবার্ঘ্য জানান, গত সাত দিনে করোনার অভিঘাতে তাঁদের জিমে গ্রাহক-সংখ্যা এক তৃতীয়াংশে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে সরকার নির্দেশ না দিলে জিম বন্ধ করার কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই।

সাতগাছি এলাকার একটি জিমের মালিক অঙ্কুর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সাধারণ মানুষ তো
এই করোনা পরিস্থিতিতে বাজার-হাটও করছেন। ব্যাঙ্কে যাচ্ছেন। তাঁরা দৈনন্দিন কাজে যে সব জায়গায় যান, তার তুলনায় অনেক বেশি স্যানিটাইজ়েশন জিমে হয়। তবু ভরসা জোগানো যাচ্ছে কই। অনেকেই বলছেন, ইচ্ছে থাকলেও গণপরিবহণে এখন জিমে আসা সম্ভব নয়। তাই তাঁরা আসছেন না। আমরা জোরও করতে পারছি না।”

মানিকতলার একটি জিমে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে হাতে গোনা কয়েক জন শারীরচর্চা করছেন। ওই জিমে ট্রেডমিলগুলি পাশাপাশি রাখা থাকলেও প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে আলাদা করা রয়েছে। সেখানকার এক প্রশিক্ষক জানালেন, ট্রেডমিলে দৌড়নোর সময়ে মাস্ক পরা সম্ভব নয়। সেই কারণেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ওই প্লাস্টিকের পর্দা

টাঙানো হয়েছে। ওই জিমের এক কর্ণধার নবীন সাউয়ের কথায়, “ডিপ ফগিং মেশিন দিয়ে পুরো জিম স্যানিটাইজ় করার পাশাপাশি গ্রাহকদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। জিম থেকে বেরিয়ে সকলকে মাস্ক পরতে অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে এখন করোনা পরিস্থিতি যা, তাতে
আমরা খুব বেশি গ্রাহক আশা করছি না।”

তবে আশা ছাড়ছেন না বিভিন্ন জিমের মালিকেরা। তাঁদের মতে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলে গেলে মানুষ আরও বেশি করে বুঝতে পারবে যে, সুস্থ থাকতে হলে, ভাইরাস-ঘটিত বা যে
কোনও ধরনের অসুখের কবল থেকে বাঁচতে হলে নিয়মিত শারীরচর্চার প্রয়োজন। তা জিমে গিয়েই হোক বা ভোরবেলা হেঁটেই হোক। তাই করোনা কেটে গেলে মানুষ আবার জিমে ফিরে আসবেই।

তাঁরা জানালেন, অধিকাংশ জিমেই গ্রাহকেরা ভর্তি হন নানা রকম প্যাকেজে। অনেকে এককালীন ছ’মাসের ফি দিয়ে ভর্তি হন। কেউ ভর্তি হন এককালীন এক বছরের ফি দিয়ে। এর কারণ, এক বারে ছ’মাস বা এক বছরের টাকা দিয়ে দিলে খানিকটা ছাড় পাওয়া যায়। সেই কারণে মুষ্টিমেয় কয়েক জন এলেও জিম খোলা রাখতেই হচ্ছে। তবে এর পরে জিম বন্ধ রাখার সরকারি ঘোষণা বা লকডাউন হলে অবশ্য সে অন্য কথা।

তবে গ্রাহকদের মধ্যে যাঁরা প্যাকেজে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদেরও অনেকে জিমে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনই এক জন নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বললেন, “প্যাকেজ ব্যবস্থায় ভর্তি হয়েছি ঠিকই, কিন্তু করোনার এই পরিস্থিতিতে জিমে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। মাস্ক পরে ব্যায়াম করা যায় না। ব্যায়াম করার সময়ে প্রশিক্ষককে বিভিন্ন বিষয় দেখিয়ে দিতে শিক্ষার্থীর কাছাকাছি আসতেই হয়। শারীরিক দূরত্ব সব সময়ে বজায় থাকে না।”

যাদবপুরের একটি জিমের কর্ণধার দেবার্ঘ্য সেনগুপ্ত বললেন, “গ্রাহক কমে গেলেও কোভিড-বিধি মেনেই জিম চলছে। থার্মাল গান দিয়ে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা হচ্ছে। তার পরে প্রত্যেককেই স্যানিটাইজ়েশন গেট পেরিয়ে ভিতরে ঢুকতে হচ্ছে। এমনকি, পালস-অক্সিমিটার দিয়েও সবাইকে পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’ দেবার্ঘ্যের কথায়, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে এসি-তে ব্যায়াম করা ঝুঁকির। তাই তা বন্ধ রাখা হয়েছে। আমাদের জিম থেকে সংক্রমণের কোনও ভয় নেই বলেই গ্রাহকদের আশ্বাস দিচ্ছি। তবু মানুষের আতঙ্ক কাটছে না।” দেবার্ঘ্য জানান, গত সাত দিনে করোনার অভিঘাতে তাঁদের জিমে গ্রাহক-সংখ্যা এক তৃতীয়াংশে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে সরকার নির্দেশ না দিলে জিম বন্ধ করার কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই।

সাতগাছি এলাকার একটি জিমের মালিক অঙ্কুর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সাধারণ মানুষ তো এই করোনা পরিস্থিতিতে বাজার-হাটও করছেন। ব্যাঙ্কে যাচ্ছেন। তাঁরা দৈনন্দিন কাজে যে সব জায়গায় যান, তার তুলনায় অনেক বেশি স্যানিটাইজ়েশন জিমে হয়। তবু ভরসা জোগানো যাচ্ছে কই। অনেকেই বলছেন, ইচ্ছে থাকলেও গণপরিবহণে এখন জিমে আসা সম্ভব নয়। তাই তাঁরা আসছেন না। আমরা জোরও করতে পারছি না।”

মানিকতলার একটি জিমে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে হাতে গোনা কয়েক জন শারীরচর্চা করছেন। ওই জিমে ট্রেডমিলগুলি পাশাপাশি রাখা থাকলেও প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে আলাদা করা রয়েছে। সেখানকার এক প্রশিক্ষক জানালেন, ট্রেডমিলে দৌড়নোর সময়ে মাস্ক পরা সম্ভব নয়। সেই কারণেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ওই প্লাস্টিকের পর্দা

টাঙানো হয়েছে। ওই জিমের এক কর্ণধার নবীন সাউয়ের কথায়, “ডিপ ফগিং মেশিন দিয়ে পুরো জিম স্যানিটাইজ় করার পাশাপাশি গ্রাহকদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। জিম থেকে বেরিয়ে সকলকে মাস্ক পরতে অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে এখন করোনা পরিস্থিতি যা, তাতেআমরা খুব বেশি গ্রাহক আশা করছি না।”

তবে আশা ছাড়ছেন না বিভিন্ন জিমের মালিকেরা। তাঁদের মতে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলেগেলে মানুষ আরও বেশি করে বুঝতে পারবে যে, সুস্থ থাকতে হলে, ভাইরাস-ঘটিত বা যে
কোনও ধরনের অসুখের কবল থেকে বাঁচতে হলে নিয়মিত শারীরচর্চার প্রয়োজন। তা জিমে গিয়েই হোক বা ভোরবেলা হেঁটেই হোক। তাই করোনা কেটে গেলে মানুষ আবার জিমে ফিরে আসবেই।

gym
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy