প্রতীকী ছবি
দামি গাড়ি কিনলেও তাতে অনেক ত্রুটি ধরা পড়েছিল। গাড়ির এসি থেকে শুরু করে ইঞ্জিনে একাধিক সমস্যা থাকায় নতুন গাড়িটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠেছিল। গাড়ি সংস্থাকে ওই গাড়িটি বদলে দিতে বার বার অনুরোধ করা হলেও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেছিলেন টালিগঞ্জের দেশপ্রাণ শাসমল রোডের বাসিন্দা বনানী বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেই আদালত রায় দিয়েছে যে, এক মাসের মধ্যে নতুন গাড়ি ফিরিয়ে দিতে হবে গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাকে।
দেশপ্রাণ শাসমল রোডের বাসিন্দা শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী বনানীদেবী ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে একটি গাড়ি সংস্থার জগাছায় অবস্থিত শোরুম থেকে গাড়িটি কিনেছিলেন। শ্যামলবাবুর অভিযোগ, ‘‘গাড়িটি কেনার পরে প্রথম দিন থেকেই তার এসি ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছিল না। পাশাপাশি, ইঞ্জিনেরও কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ক্রমশ যত দিন যাচ্ছিল, ততই গাড়িতে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।’’ গাড়ির ওই সমস্যার বিষয়ে প্রস্তুতকারী সংস্থাকে জানানো হলে শ্যামলবাবুদের তারা জানায়, গাড়িটি নিয়ে ওই সংস্থার ওয়ার্কশপে যেতে হবে।
শ্যামলবাবুর অভিযোগ, ‘‘ওয়ার্কশপে বার বার গেলেও গাড়ির সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ওই সংস্থার কাছে আবেদন করেছিলাম, তারা যেন গাড়িটি বদলে নতুন গাড়ি দেয়। কিন্তু একাধিক বার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও সংস্থার কর্মীরা তাতে আমল দেননি। তাই শেষে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করি।’’
গত ১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারক শ্যামল গুপ্ত তাঁর রায়ে ওই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার ভূমিকার সমালোচনা করে অভিযোগকারীর পাশে দাঁড়ান। অভিযোগকারী মামলার সময়ে জানিয়েছিলেন যে, ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ ওই গাড়িটি পাল্টে নতুন গাড়ি দেওয়া হলে তাঁর আর কোনও আপত্তি নেই। সেইমতো বিচারক তাঁর রায়ে জানান যে, রায় বেরোনোর এক মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ বিনা খরচে নতুন গাড়ি ফিরিয়ে দিতে হবে ওই গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাকে। তবে এই রায় প্রসঙ্গে ওই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তারা তাদের আইনি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy