অনুজ শর্মা।—নিজস্ব চিত্র।
গত দু’সপ্তাহ ধরেই বেপরোয়া মোটরবাইকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ড। লাগাতার চলা রাতের ওই তল্লাশিতে যাতে গা-ছাড়া মনোভাব না আসে, তা নিয়ে এ বার বাহিনীকে সতর্ক করলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। বাহিনীর কাজের প্রশংসা করার পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই তল্লাশি অভিযানের উপরে ব্যক্তিগত ভাবে নজর রাখছেন তিনি। একই সঙ্গে বার্তা দিয়েছেন, বাহিনীর সকলের পাশেও আছেন।
পুলিশের একটি অংশের মত, মধ্যরাত পর্যন্ত লাগাতার অভিযান চালানোর ফলে বাহিনীর মধ্যে কর্তব্যে শিথিলতা আসতে পারে। সেই আশঙ্কা করেই পুলিশ কমিশনার বুধবার ওসি এবং অতিরিক্ত ওসিদের সতর্ক করেছেন। এ ছাড়াও কমিশনার তাঁর পাঠানো বার্তায় আইনের শাসন বজায় রাখার কথা বলেছিলেন বাহিনীর সদস্যদের। পুলিশের এক শীর্ষকর্তার কথায়, কমিশনার মনে করছেন রাতে মোটরবাইকের দাপাদাপি কমাতে এই অভিযান চালিয়ে যেতে হবে। সে কারণে তিনি প্রতিটি থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকদের জানিয়ে দিয়েছেন, পুরো বিষয়টিতে তিনি স্বয়ং নজর রাখছেন।
লালবাজারের খবর, গত দু’সপ্তাহে বিভিন্ন রাস্তায় মাঝরাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে ১৩,৩৬২টি বাইকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। বিনা হেলমেটে বাইক চালানোর জন্য জরিমানা করা হয়েছে ৭,৬০২ জন আইনভঙ্গকারীকে। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এক হাজারেরও বেশি চালকের বিরুদ্ধে। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, পুলিশ কমিশনার বেপরোয়া মোটরবাইকের নথি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতেও বলেছিলেন। যার ভিত্তিতে বৈধ নথি দেখাতে না পারায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩৩৫টি বাইক। ওই অভিযোগে রাজ্য পুলিশের এক কর্মীর বাইকও বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।
অন্য দিকে, তিন দিন পরেও খোঁজ মেলেনি কড়েয়ার বেপরোয়া মোটরবাইক চালকের। সোমবার রাতে অভিযান চলাকালীন ওই বাইকচালক সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ে এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারেন। পালিয়ে যাওয়ার সময়ে এক পুলিশকর্মী বাইকটিকে আটকানোর চেষ্টা করলে চালক গতি বাড়িয়ে তাঁকে বেশ খানিকটা পথ ঘষটে নিয়ে যান। পুলিশের অবশ্য দাবি, বাইকটিকে শনাক্ত করা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy