Advertisement
E-Paper

শহরে ফের ডাকাত-রাজ

শহরে আবার ডাকাত পড়েছে! মধ্য কলকাতার ব্যবসাকেন্দ্র হোক বা দক্ষিণ শহরতলির গৃহস্থ বাড়ি, সর্বত্র বিচরণ ওই লুটেরাদের। সোমবার রাতে ডাকাতি হয়েছিল বড়বাজারের এক দোকানে। ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই, মঙ্গলবার নাকতলার এক দন্ত-চিকিৎসকের বাড়ি থেকে লুঠ হল টাকা-গয়না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০০:২০

শহরে আবার ডাকাত পড়েছে!

মধ্য কলকাতার ব্যবসাকেন্দ্র হোক বা দক্ষিণ শহরতলির গৃহস্থ বাড়ি, সর্বত্র বিচরণ ওই লুটেরাদের।

সোমবার রাতে ডাকাতি হয়েছিল বড়বাজারের এক দোকানে। ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই, মঙ্গলবার নাকতলার এক দন্ত-চিকিৎসকের বাড়ি থেকে লুঠ হল টাকা-গয়না। দু’টি ঘটনাতে বুধবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

গত বছর পুজোর মুখে পোস্তায় ডাকাতি হয়। তার আগে পর পর ডাকাতি হয় হরিদেবপুর, যাদবপুর, রিজেন্ট পার্কে। কিন্তু দলগুলি ধরা পড়েছিল। মাসখানেক আগে ঠাকুরপুকুরে একটি ডাকাতিরও কিনারা হয়েছে। তা হলে নতুন ডাকাতদল কী ভাবে তৈরি হল?

তদন্তকারীদের ধারণা, বড়বাজারে বিহারের কোনও দল ডাকাতি করেছে। আর, নাকতলার দলটি কলকাতা বা দক্ষিণ ২৪ পরগনার। শহরে ডাকাতদের দৌরাত্ম্য ফের শুরু হল কেন? এক অফিসার বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে, কোনও দাগির সঙ্গে নতুন দুষ্কৃতীদের নিয়ে লুটেরাদের একাধিক দল তৈরি হয়েছে।’’

লালবাজার সূত্রে খবর, বড়বাজারের ঘটনায় অভিযুক্তদের স্কেচ আঁকানো হয়েছে। কিন্তু পুরনো দুষ্কৃতী-দলের সঙ্গে তাদের মিল পাওয়া যায়নি। নাকতলার অভিযুক্তদের স্কেচ আঁকানোর পরে সোনারপুরের চার যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি নাকতলার অশোক অ্যাভিনিউয়ে চিকিৎসক রণবীর সিংহের শ্বশুরবাড়ি ভেঙে প্রোমোটিং হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, সেই খবর ডাকাতেরা জানত। রণবীরবাবু কখন বেরিয়েছেন, কখন ফিরবেন, তা নিয়েও ‘হোমওয়ার্ক’ করা হয়েছিল। রণবীরবাবু বাড়ি ঢোকার সময়ে তিন যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন। তাঁকে দেখে ওই যুবকেরা একটু এগিয়ে যায় এবং তিনি ঢোকার সময়ে পিছন দিয়ে ঠেলে ঢুকে পড়ে। এটাও আগে থেকে ছক কষে ঠিক করা হয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ।

এক পুলিশকর্তা জানান, বাড়ি ঢোকার আগে রণবীরবাবুর শ্বশুর-শাশুড়িকে একটি দোকানের নাম বলে ডাকাতেরা। তার মালিকের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। এক প্রবীণ পুলিশকর্তা জানান, ২০০৩-০৪ সালে বড়বা়জারে একের পর এক ডাকাতি পুলিশকে নাজেহাল করে তুলেছিল। তৎকালীন ডিসি (সেন্ট্রাল) বিশেষ দল গড়ে ভিন্‌ রাজ্যের ডাকাতদলকে পাকড়াও করেছিলেন। সেই ডিসি (সেন্ট্রাল) রাজীব কুমার এখন পুলিশ কমিশনার।

৩ তারিখে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সাত দিনের মধ্যে শহরের দু’প্রান্তে দু’টি ডাকাতি। লালবাজারের পোড় খাওয়া অফিসারদের অনেকে বলছেন, এ বার দেখার, কমিশনার হিসেবে রাজীব কুমার কী ভাবে একাধিক ডাকাত দলকে ধরেন।

kolkata docoity city police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy