Advertisement
E-Paper

রাস্তায় হঠাৎ ধস, যানজটে নাকাল অফিসযাত্রীরা

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ রাজাবাজার থেকে শিয়ালদহ স্টেশনমুখী রাস্তায় সাত ফুট বাই আট ফুটের বিশাল গর্ত দেখতে পান কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪১
বিপত্তি: শিয়ালদহের জগৎ সিেনমার কাছে রাস্তায় আচমকা নেমেছে ধস। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

বিপত্তি: শিয়ালদহের জগৎ সিেনমার কাছে রাস্তায় আচমকা নেমেছে ধস। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

রাস্তার একটি লেনে জলের ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনের কাজ চলছিল। তার জন্য খোঁড়া হয়েছিল ওই লেনের কিছুটা অংশ। ঠিক তার পাশের লেনের একটা বড় জায়গা জুড়ে ধস নেমে ব্যাহত হল ওই এলাকার যান চলাচল। সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে শিয়ালদহের জগৎ সিনেমার কাছে এপিসি রোডে এর জেরে সকাল থেকে তীব্র যানজটে পড়ল উত্তর এবং পূর্ব কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা। গাড়ির জটে ফেঁসে বিপত্তিতে পড়েন শিয়ালদহ স্টেশনে ট্রেন ধরতে আসা লোকজনও।

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ রাজাবাজার থেকে শিয়ালদহ স্টেশনমুখী রাস্তায় সাত ফুট বাই আট ফুটের বিশাল গর্ত দেখতে পান কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ট্র্যাফিকের আধিকারিকেরা। গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় ধস নামা অংশটি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজাবাজার থেকে শিয়ালদহের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় গাড়ি চলাচল। পরে অন্য লেন দিয়ে ছোট গাড়ি চালানো হলেও বাস চলাচল রাত পর্যন্ত বন্ধই ছিল। তবে শিয়ালদহ থেকে রাজাবাজারের দিকে গাড়ি চলাচলে কোনও বাধা তৈরি হয়নি। ঘটনার পরেই পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয় পুরসভার সঙ্গে।

কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (রাস্তা) রতন দে বলেন, ‘‘প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, জলের পাইপলাইনের কাজের জন্য ধস নামে। প্রাথমিক ভাবে ধস আটকানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হয়েছে। তার পরেই ওই রাস্তা পুরো মেরামতি করা হবে। কেন এমন ঘটল, তারও খোঁজ করা হবে।’’ যদিও পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্য, নিকাশির কাজের জন্য ধস নেমেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনের কাজের জন্য এক সপ্তাহেরও বেশ সময় ধরে রাস্তার একটি লেন দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে দিনের ব্যস্ত সময়ে ধস নামায় উত্তর এবং মধ্য কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তায় যানজট তৈরি হতে থাকে। অবস্থা সামাল দিতে শ্যামবাজারের দিক থেকে আসা বাস-মিনিবাসকে মানিকতলা মোড় এবং সুকিয়া স্ট্রিট থেকে রাজা রামমোহন সরণি-মহাত্মা গাঁধী রোড দিয়ে শিয়ালদহের দিকে পাঠাতে শুরু করে পুলিশ। এর ফলে রাজা রামমোহন সরণি এবং এপিসি রোডে বাধা পায় গাড়ির গতি। একই সঙ্গে সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় নারকেলডাঙা মেন রোড, বিবেকানন্দ রোড এবং বেলেঘাটা মেন রোডে।

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, এপিসি রোড ও রাজা রামমোহন সরণির অবস্থা সামাল দিতে বেলা ১২টার পরে ফুলবাগান মোড় থেকে রাজাবাজারের দিকে কোনও বাস-মিনিবাসকে আসতে দেওয়া হয়নি। সেগুলিকে ঘুরিয়ে বেলেঘাটা মেন রোড দিয়ে পাঠানো হয় শিয়ালদহ-ধর্মতলার দিকে। রাত ৮টার পর থেকে অবশ্য মানিকতলা থকে শিয়ালদহের দিকে বাস-মিনিবাস যেতে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ফুলবাগান থেকে রাজাবাজার যাওয়ার সব নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়।

লালবাজার সূত্রের খবর, টালা সেতু দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ থাকার জন্য প্রচুর বাসকে ঘুরিয়ে গন্তব্যে পাঠানো হচ্ছে। যার জেরে উত্তর কলকাতা ও শহরতলিতে বাসে যাতায়াতে সময় লাগছে অনেক বেশি। এ দিন রাস্তায় ধস নামায় ফের যানজট হয় উত্তর কলকাতার একটা বিরাট অংশে। পুলিশের দাবি, বাসের পথ ঘুরিয়ে ও ছোট গাড়িকে ওই ধসের এক দিক দিয়ে যাতায়াত করতে দেওয়ায় প্রাথমিক ভাবে অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, ৫ নভেম্বর থেকে ওই পাইপলাইনের কাজ চলছে। অনুমান, সেই কাজ করার সময়ে রাস্তার নীচের মাটি সরে গিয়ে গর্ত তৈরি হয়।

Potholes Kolkata Landslide Sealdah
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy