পোস্তা, গড়িয়াহাটের পরে এন্টালি। ফের ভাঙল পুরনো বাড়ির একাংশ। এবং আগের দু’টির মতো এ ক্ষেত্রেও পুরসভার নোটিসে বাড়িটি ছিল ‘বিপজ্জনক’। শনিবার এন্টালির হাজরা বাগান লেনে ওই বাড়ির কড়িবরগা ভেঙে জখম হন এক বৃদ্ধা। আহত নীলিমা দাস (৭৫) এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি।
গত ৮ মে পোস্তায় পুরনো বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ়ের। ২৪ মে গড়িয়াহাটের পঞ্চাননতলায় বহুতলের বারান্দা ভেঙে মারা যান এক বৃদ্ধা। পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে এখন বিপজ্জনক বাড়ি প্রায় ২৮০০। এর মধ্যে দু’হাজার বাড়ি উত্তর ও মধ্য কলকাতায়।
এন্টালির বাড়িটিতে বছর চারেক আগেই পুরসভা ‘বিপজ্জনক’ নোটিস দিলেও সেখানে থাকছিল দু’টি পরিবার। পুত্রবধূর সঙ্গে থাকতেন নীলিমাদেবী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার নীলিমাদেবীর পুত্রবধূ বাড়ি ছিলেন না। ঘরেই ছিলেন বৃদ্ধা। আচমকাই কড়িবরগা ভেঙে পড়ে। পুলিশ জানায়, বাড়ির যৌথ মালিকানা রয়েছে নীলিমাদেবীর। কিন্তু শরিকি বিবাদ ও অনটনের কারণে তাঁরা বাড়ি সংস্কার করতে পারছিলেন না।
পুরসভার ডিজি (বিল্ডিং-২) দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাড়ি ভাঙার ঘটনার পরে টনক ন়ড়ে বাসিন্দাদের। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে।’’ ঘটনাটির পরেই বাড়ির সদস্যেরা পুরসভাকে জানান, বাড়ি ভেঙে তাঁরা সংস্কারের কাজে হাত দেবেন।
দেবাশিসবাবুর বক্তব্য, কোনও বাড়ি বসবাসের অযোগ্য হলে পুরসভার তরফে ‘বিপজ্জনক’ নোটিস দেওয়া হয়। এর পরেও নাগরিকেরা থাকলে পুরসভা জোর করে বার করে দিতে পারে না। তাঁর কথায়, ‘‘নাগরিকেরা সচেতন না হলে আমাদের করণীয় কিছু নেই।’’ কিন্তু বিপজ্জনক বাড়ি থেকে বাসিন্দারা না সরলে তাঁদের উচ্ছেদের আইন তো পুরসভার হাতে রয়েছে। পুর-কর্তাদের বক্তব্য, মানবিক ও আইনি কারণে তাঁরা ওই আইন প্রয়োগ করেন না। পুরসভার বিল্ডিং দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘অনেক ক্ষেত্রে বাসিন্দারা পুরসভার কাছে বসবাসের বিকল্প জায়গা চান। অনেকে বাড়ি ভাঙার বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করে স্থগিতাদেশ পেয়ে যান। কখনও বা বাড়িওয়ালা, কখনও ভাড়াটে মামলা করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy