প্রতীকী ছবি।
ঘরের মেঝেয় পড়ে রয়েছেন প্রৌঢ়া। দরজা খোলা থাকায় বাইরে থেকে তা দেখতে পেয়েই চমকে উঠেছিলেন এক প্রতিবেশী। বার বার ডাকার পরেও প্রৌঢ়ার সাড়া মেলেনি। এর পরেই দেখা যায়, পাশের ঘরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় রয়েছেন ওই প্রৌঢ়ার ছেলে। পুলিশ দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মা ও ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শুক্রবার রাতে সোদপুরের ঘটনা। পুলিশ জানায়, ওই প্রৌঢ়ার নাম কামনা সিংহ (৬৭) ও ছেলের নাম দত্তাত্রেয় সিংহ (২২)। তাঁরা সোদপুর কেয়া মোড়ের কাছে একটি আবাসনের একতলায় থাকতেন। পরিজনেরা জানাচ্ছেন, প্রায় ১৪ বছর আগে প্রৌঢ়ার স্বামী সুবেশ সিংহের মৃত্যু হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশের একটি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন ওই প্রৌঢ়া। দত্তাত্রেয়র ছেলেবেলাও কেটেছে ভিন্ রাজ্যেই। তবে দীর্ঘ দিন ধরেই সোদপুরের পুরনো পোস্ট অফিসের কাছে একটি ফ্ল্যাট ছিল তাঁদের। অরুণাচল প্রদেশ থেকে এ রাজ্যে এলে সেখানেই তাঁরা থাকতেন। বছর আটেক আগে পাকাপাকি ভাবে সোদপুরে চলে এসে কেয়া মোড়ে ফ্ল্যাট কেনে ওই পরিবার। দত্তাত্রেয়ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরে চাকরির চেষ্টা করছিলেন।
এ দিন দেহ দু’টি উদ্ধারের পরে মোবাইল থেকে পাওয়া নম্বর দেখে বিহারের এক আত্মীয়কে প্রথমে খবর দেয় পুলিশ। সেই আত্মীয়ই অন্যদের জানান। তাঁদেরই এক জন জানান, কয়েক দিন আগেও মা এবং ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কিন্তু কারও মধ্যেই কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেননি তিনি।
ওই আত্মীয় পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁকে কামনাদেবী জানিয়েছিলেন, সোদপুর পুরনো পোস্ট অফিসের সামনের ফ্ল্যাটটি কেনার নামে ২০১৬ থেকে এক ব্যক্তি সেটি দখল করে রেখেছেন। তিনি কোনও মতেই ফ্ল্যাটটি ছাড়ছেন না। বরং হুমকি দিচ্ছেন। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়না-তদন্তের পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা সম্ভব হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy