E-Paper

তিন দিন নিখোঁজ থাকার পরে উদ্ধার শিশুর দেহ, ক্ষোভ

রবিবার বাড়ি থেকে খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ইসতাবরেজ আনসারি (৪) নামে ওই শিশুটি। তার বাবা ফল বিক্রি করেন। ২৪ নম্বর রেলগেট এলাকার বাসিন্দা ওই পরিবারের তিন সন্তানের মধ্যে ইসতাবরেজ মেজো।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ০৭:৪০
Ansari

ইসতাবরেজ আনসারি।

তিন দিন নিখোঁজ থাকার পরে চার বছরের এক শিশুর দেহ উদ্ধার হল। ঘটনাস্থল লেক টাউনের দক্ষিণদাঁড়ি এলাকার ২৪ নম্বর রেলগেট। নিখোঁজ হওয়ার দিনেই শিশুটির পরিবারের তরফে লেক টাউন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। বুধবার দেহ উদ্ধারের পরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।

স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার বাড়ি থেকে খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ইসতাবরেজ আনসারি (৪) নামে ওই শিশুটি। তার বাবা ফল বিক্রি করেন। ২৪ নম্বর রেলগেট এলাকার বাসিন্দা ওই পরিবারের তিন সন্তানের মধ্যে ইসতাবরেজ মেজো। এ দিন দুপুরে একটি বড় গর্তের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ।

এ দিন স্থানীয়েরা জানান, নিখোঁজ ডায়েরির পাশাপাশি লেক টাউন থানায় একটি অপহরণের অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার ইদের আগে এমন ঘটনায় এলাকায় রয়েছে শোকের আবহ। একই সঙ্গে শিশুটিকে খোঁজার ক্ষেত্রে পুলিশের গাফিলতি ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ দিন পুলিশ স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিধাননগরের নগরপাল গৌরব শর্মা-সহ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সকলেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। আসেন স্থানীয় বিধায়ক তথা দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। এলাকার বাসিন্দাদের পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতার অনুরোধ করতেও শোনা যায় মন্ত্রীকে।

বিধাননগর কমিশনারেট জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরে গুরুত্ব দিয়েই শিশুটিকে খোঁজা হচ্ছিল। তদন্তকারীরা জানান, শিশুটির খোঁজে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। ফুটেজে তাকে যে দিকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল, সেই দিক থেকেই শেষে উদ্ধার হয় দেহটি। শিশুটির দেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে, সেটি আদতে একটি চার-পাঁচ ফুটের গর্ত। সেটি জলে পরিপূর্ণ ছিল। উপরে ভাসছিল বহু আবর্জনা। গর্তটি দেখে পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় ওই জলের মধ্যে লোক নামিয়ে দেখা হয়। তার পরেই উদ্ধার হয় দেহটি। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহের ময়না তদন্ত করানো হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে শিশুটির দেহে তেমন কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি বলেও বিধাননগর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জলে ডুবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। তবে ঘটনাটি সব দিক থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয়েরা জানিয়েছে, ওই জায়গায় জলের পাইপলাইন পাতার কাজের জন্য কয়েকটি গর্ত খোঁড়া হয়েছে। যে গর্তটি থেকে ইসতাবরেজের দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটিও পাইপলাইনের কাজের জন্যই শ্রমিকেরা খুঁড়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, সিসি ক্যামেরায় শিশুটিকে শেষ যে জায়গায় খেলতে দেখা গিয়েছিল, দেহ মিলেছে তার সম্পূর্ণ অন্য দিক থেকে। ঘটনায় অন্য রহস্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Child death laketown

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy