E-Paper

স্কুলের পাশে উদ্ধার শিশুকন্যার দেহ

কী ভাবে স্কুলের পাশে শিশুটি পড়ে রইল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের একাংশের মতে, স্কুল চত্বরে সকাল থেকে লোকজনের আনাগোনা লেগে থাকে। তাই কেউ শিশুটিকে ওখানে ফেলে দিয়ে গিয়েছে বলেই মনে করছেন স্থানীয়দের অনেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৪ ০৭:৩৩
An image of Baby

—প্রতীকী চিত্র।

লেক টাউনে একটি স্কুল সংলগ্ন ফুটপাত থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হল বছর চারেকের এক শিশুকন্যাকে। আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ লেক টাউন গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড গার্লস স্কুলের কাছে এই ঘটনাটি ঘটে। শিশুটির দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে স্কুলবাসের চালকদের একাংশের নজরে আসে যে, লেক টাউনের স্কুলটির পাঁচিলের গায়ে একটি গাছের গোড়ায় গামছা জড়ানো কিছু পড়ে রয়েছে। ক্রমশ সেখানে ভিড় বাড়তে থাকে। সে সময়ে স্কুল চলছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় লেক টাউন থানার পুলিশ। অচৈতন্য অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তবে রাত পর্যন্ত তার পরিচয় জানা যায়নি।

কী ভাবে স্কুলের পাশে শিশুটি পড়ে রইল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের একাংশের মতে, স্কুল চত্বরে সকাল থেকে লোকজনের আনাগোনা লেগে থাকে। তাই কেউ শিশুটিকে ওখানে ফেলে দিয়ে গিয়েছে বলেই মনে করছেন স্থানীয়দের অনেকে। তবে কী ভাবে সকলের নজর এড়িয়ে এমন ঘটনা ঘটল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। ওই স্কুলের এক পড়ুয়ার অভিভাবিকার কথায়, ‘‘এমন অমানবিক ঘটনার কঠোর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্ত প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, প্রাথমিক ভাবে অনুমান, বাইরে থেকে এসে কেউ বা কয়েক জন শিশুটিকে ফেলে দিয়ে যায়। দেখা গিয়েছে, শিশুটির দেহে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। কী ভাবে সেটি হল এবং মৃত্যুর কারণ জানতে ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে পুলিশ। স্কুলের আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের দাবি, সেই ফুটেজে দুপুরে স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এক জন পুরুষ ও এক মহিলার সঙ্গে একটি শিশুকে দেখা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কিছু একটা রয়েছে বলে অনুমান। স্কুলের কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও ওই পুরুষ ও মহিলাকে দেখা গিয়েছে। তাঁদের আচরণে সন্দেহ বেড়েছে পুলিশের। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনার সঙ্গে ওই দু’জনের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে অনুমান। আপাতত তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

unnatural death Minor Girl Death

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy