Advertisement
E-Paper

মহিলার দেহ উদ্ধারে ধৃত বাংলাদেশি নির্মাণকর্মী

পুলিশ ওই নির্মাণকর্মীর বয়ান যাচাই করে দেখছে। ঘটনায় তার বিরুদ্ধে খুনের মামলার পাশাপাশি ১৪/১৪এ ফরেনার্স অ্যাক্টেও মামলা করা হয়েছে। কারণ, ধৃত এ দেশে থাকার কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২২ ০৭:২৭
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত নির্মাণকর্মী আদতে বাংলাদেশের নাগরিক।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত নির্মাণকর্মী আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। প্রতীকী ছবি।

খালের ধারে বালির বস্তা চাপা দেওয়া, পচাগলা অবস্থায় এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করার চার দিনের মাথায় রহস্যের কিনারা করল দমদম থানার পুলিশ। ঘটনায় এক নির্মাণকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম রাজু দাস (৫৬)। পাশাপাশি, মৃতার পরিচয় মিলেছে। তাঁর নাম কাকলি দত্ত। তিনি হাবড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত নির্মাণকর্মী আদতে বাংলাদেশের নাগরিক।

৯ নভেম্বর দমদম থানার অধীন দুর্গানগরের নলতা কালীবাড়ি এলাকায় রেললাইন সংলগ্ন খালের পাশে ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় বছর তিরিশের ওই মহিলার দেহ। সে দিন সকালে কটু গন্ধ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। বালির বস্তা দিয়ে চাপা দেওয়া ছিল দেহটি। বিষয়টি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি সুবীর রায়ের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়। আশপাশের এলাকায় খোঁজখবর করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, রাজু নামে এক নির্মাণকর্মীর ঘরে তালা ঝুলছে। সেখানে এক মহিলা মাঝেমধ্যে যাতায়াত করতেন এবং রাজুর সঙ্গে থাকতেন বলে স্থানীয়েরা জানান। এর পরে মৃতার পোশাক দেখে এবং স্থানীয়দের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অনুমান করে, ওই মহিলাই রাজুর সঙ্গে বসবাস করতেন।

এর পরে শনিবার রাতে বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ বিশরপাড়া এলাকা থেকে রাজুকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ওই নির্মাণকর্মী খুনের কথা স্বীকার করে জানায় যে, কাকলির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। কাকলি মাঝেমধ্যে তার ভাড়ার ঘরে যাতায়াত করতেন এবং থাকতেন। ৪ নভেম্বর রাতে দু’জনের প্রবল অশান্তি হয়। ঝগড়া চলাকালীন রাজু ইট দিয়ে কাকলির মাথায় আঘাত করলে তিনি জ্ঞান হারান। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজু এর পরে দেহটি রেললাইনের ধারে, খালের পাশে ঝোপে ফেলে আসে। তার উপরে চাপা দেয় বালির বস্তা এবং আবর্জনা।

পুলিশ ওই নির্মাণকর্মীর বয়ান যাচাই করে দেখছে। ঘটনায় তার বিরুদ্ধে খুনের মামলার পাশাপাশি ১৪/১৪এ ফরেনার্স অ্যাক্টেও মামলা করা হয়েছে। কারণ, ধৃত এ দেশে থাকার কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেনি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত বাংলাদেশের যশোর জেলার বাসিন্দা। সে এ দেশে কোনও ভাবে এসে নাম ভাঁড়িয়ে বসবাস করছিল। ধৃতের প্রকৃত পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

Death woman arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy