Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Dengue

জ্বরে মৃত্যু চলছেই দক্ষিণ দমদমে

বুধবার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে জ্বরে আক্রান্ত এক অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুর পরে বাসিন্দাদের দাবি, বিভিন্ন ওয়ার্ডে যথেষ্ট মশার দাপট রয়েছে। সূত্রের খবর, এই নিয়ে জ্বরে ১৭ জনের মৃত্যু হল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৪৩
Share: Save:

তিনটি ওয়ার্ডেই সীমাবদ্ধ রয়েছে মশার প্রকোপ। এবং সেই প্রকোপও ধীরে ধীরে কমছে— এমনই দাবি দক্ষিণ দমদম পুরসভার। কিন্তু বুধবার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে জ্বরে আক্রান্ত এক অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুর পরে বাসিন্দাদের দাবি, বিভিন্ন ওয়ার্ডে যথেষ্ট মশার দাপট রয়েছে। সূত্রের খবর, এই নিয়ে জ্বরে ১৭ জনের মৃত্যু হল।

বুধবার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মৃত্যু হয় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ঘটনাচক্রে একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। স্থানীয় কাউন্সিলর মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য যদিও বলেন, ‘‘এটি একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা। পুরসভা সাধ্য মতো চেষ্টা চালাচ্ছে। আমার ওয়ার্ডে গত বছর থেকে এখনও সে ভাবে জ্বরে আক্রান্তের খবর পাইনি।’’

তবে পুর প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। পুরসভা জানিয়েছে, ১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে যে ভাবে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছিল, তা অন্য ওয়ার্ডে দেখা যায়নি। তবে কয়েক বছর ধরে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ চলার পরে পরে টনক নড়েছে পুর প্রশাসনের। পুর কর্তারা জানিয়েছেন, বছরে শুধু কয়েক মাস নয়, সারা বছরই সচেতনতার কাজ করতে হবে। পাশাপাশি মশার তেল ছড়ানো, ফগিং, জমা জল সরানোও করা হবে।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার দাবি, এ বছরও লাগাতার প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও স্থানীয়দের একটি বড় অংশের সাড়া মেলেনি। বারবার পুরকর্মীরা প্রতিটি বাড়িতে আবেদন করেছেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও একাংশের হুঁশ ফিরছে না। পুর এলাকার জমে থাকা জল সরানো হয়েছে। কিন্তু বাড়ি বাড়ি থেকে নিয়মিত জমা জল সরানো মুশকিল। জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধির এটি একটি বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। পুর চেয়ারম্যান অবশ্য বলেন, ‘‘হাল ছাড়ছি না। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE