ফাইল চিত্র।
এমডি, এমএস পরীক্ষার রেজাল্ট বদলে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের পাশ করানোর অভিযোগ উঠেছে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। নেপথ্যে ‘মূল কান্ডারি’ হিসাবে নাম উঠে এসেছে তৃণমূলের চিকিৎসক-বিধায়ক নির্মল মাজির। এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলল ‘অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস অর্গানাইজ়েশন’ (এআইডিএসও)-এর মেডিক্যাল ইউনিট।
শুক্রবার সংগঠনের সদস্যেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে দাবি তোলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্মলকে সব পদ থেকে অপসারণ করতে হবে এবং দোষ প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ দিন উপাচার্য সুহৃতা পালকে স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি বিক্ষোভকারী চিকিৎসকেরা একের পর এক অভিযোগের নমুনা তুলে ধরেন। এআইডিএসও-র মেডিক্যাল ইউনিটের আহ্বায়ক চিকিৎসক সাম্স মুশাফির বলেন, ‘‘কুকুরের ডায়ালিসিস থেকে শুরু করে জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন কেলেঙ্কারি-সহ বহু অনৈতিক কাজে অভিযুক্ত ওই নেতা (নির্মল মাজি) রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের শীর্ষে বসে রয়েছেন। প্রতি বারই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও তদন্ত হয় না।’’
উপাচার্যের কাছে অভিযোগে বিক্ষোভকারীরা জানান, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক এখন এমবিবিএস পরীক্ষার পরিদর্শক হিসাবে যাচ্ছেন। তিনি পরীক্ষার্থীদের নকল করতে সহযোগিতা করেন। সব জেনেও কেউ কিছু বলেন না। সামস্ মুশাফির বলেন, ‘‘এমন কিছু ঘটেনি বলে প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন উপাচার্য। পরে অবশ্য অবিলম্বে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।’’
অন্য দিকে, ফেল থেকে পাশ করানোর ঘটনার প্রতিবাদ করে ‘এসইউসিআই (সি)’-এর রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজ্যের চিকিৎসা-শিক্ষা কতটা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে নির্মল মাজির পাশ করানোর নির্দেশেই তা স্পষ্ট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy