Advertisement
E-Paper

বাসের ভাড়ার তফাত মেটাতে স্মারকলিপি

সমস্যা মেটাতে রাস্তায় পুলিশি জোরজুলুম বন্ধের দাবি ছাড়াও বাস পিছু মাসে ২০ হাজার টাকা করে আগামী ৬ মাস বিশেষ সাহায্য দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৫৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সরকারি বাসের সঙ্গে বেসরকারি বাসের ন্যূনতম ভাড়ার পার্থক্য ঘোচানোর দাবি নিয়ে সোমবার রাজ্যের পরিবহণ সচিবের দ্বারস্থ হল সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস।
করোনা পরিস্থিতিতে বাস পরিষেবা সচল রাখতে বেসরকারি বাসের ন্যূনতম ভাড়া সাত টাকা থেকে বাড়িয়ে আট টাকা করার দাবি জানানোর পাশাপাশি সরকারের কাছে বিশেষ আর্থিক সাহায্যের দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। বেসরকারি বাস মালিকদের সমস্যার কথা জানিয়ে এ দিন সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যের পরিবহণ সচিবের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

সংগঠনের অভিযোগ, দীর্ঘ লকডাউনের সময়ে বাস মালিকদের কোনও আয় হয়নি। গত কয়েক মাসে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও এখনও বাসে প্রত্যাশার তুলনায় যাত্রী অনেকটাই কম। মাস কয়েকের মধ্যে লিটার প্রতি ডিজেলের মূল্য প্রায় ১৪ টাকা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান ভাড়ায় বাস চালাতে গেলে দিনে ৭৫০ থেকে ৮০০ জন যাত্রী প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস। বাস্তবে সেখানে যাত্রী মিলছে ৪০০ থেকে ৪৫০ জন। এই অবস্থায় বাস পরিষেবায় ক্ষতির বহর বাড়ছে বলে অভিযোগ তাদের।

এ দিন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা জানান, লকডাউনের পর্বে ব্যাঙ্কের ঋণের উপরে সুদের ছাড় দেওয়ার কথা থাকলেও তা তাঁরা পাননি। কোনও আয় ছাড়াই বাসের কিস্তির টাকা মেটাতে হয়েছে। টানা কয়েক মাস বসে থাকা বাস সচল করতে গিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ব্যয়ের পাশাপাশি সরকারকে মোটা টাকা করও দিতে হয়েছে। এই অবস্থায় সরকারি সাহায্য ছাড়া বাসমালিকদের পক্ষে টিকে থাকা মুশকিল।

টিটু বলেন, ‘‘আমরা সাধারণ মানুষের উপরে বোঝা চাপে এমন দাবি এখনই সরকারের কাছে জানাতে চাই না। তবে, বাসমালিকদের সমস্যা মেটাতে সরকার এগিয়ে না এলে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের না খেয়ে মরতে হবে। পরিষেবাও মুখ থুবড়ে পড়বে।’’

সমস্যা মেটাতে রাস্তায় পুলিশি জোরজুলুম বন্ধের দাবি ছাড়াও বাস পিছু মাসে ২০ হাজার টাকা করে আগামী ৬ মাস বিশেষ সাহায্য দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। পরিবহণ ক্ষেত্রে সরকার যে সব দিকে কর ছাড়ের ঘোষণা করেছে, তা যাতে যথাযথ ভাবে কার্যকর করা হয় তা-ও দেখার কথা বলেছেন তিনি।
বেসরকারি বাসের সঙ্কট নিয়ে এ দিন বৈঠকে বসেছিল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি এবং জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস। সব ক’টি সংগঠনই ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সরব হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। আজ, মঙ্গলবার ফের বৈঠকে হওয়ার কথা।

Bus fare
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy