ফাইল চিত্র
খালি চোখে বা যে কোনও রকম চশমা পরে সূর্যগ্রহণ দেখতে গিয়ে ক্ষতি হয় দৃষ্টির। প্রতি বার একই সমস্যার শিকার হয়ে অসংখ্য মানুষ গ্রহণের পরে চিকিৎসকদের চেম্বারে ভিড় করেন। করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে চিকিৎসা পরিষেবা এখনও সীমিত। ফলে অন্যান্য বারের মতো এ বার চাইলেই চিকিৎসকের কাছে পৌঁছনো যাবে না। সেই কারণেই ওই ভাবে গ্রহণ দেখতে বারণ করছেন চক্ষু চিকিৎসকেরা।
সূর্যগ্রহণ কী ভাবে চোখের ক্ষতি করে? সূর্য থেকে বেরোনো অতিবেগুনি এবং ইনফ্রারেড রশ্মি রেটিনার কেন্দ্রস্থলে থাকা ম্যাকুলায় প্রবেশ করে। আলোকরশ্মি এই ম্যাকুলায় কেন্দ্রীভূত হওয়ায় আমরা দেখতে পারি। কিন্তু এক মিনিটেরও কম সময় একটানা সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে সেই দেখার ক্ষমতাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কারণ, সূর্য থেকে নির্গত ওই দুই রশ্মির যথাক্রমে ফোটো কেমিক্যাল এবং থার্মাল রিঅ্যাকশন ম্যাকুলা পুড়িয়ে দেয়। একে বলে ‘ম্যাকুলা বার্ন’, ‘এক্লিপ্স বার্ন’ বা ‘ফোটোরেটিনাইটিস’।
চোখের চিকিৎসক জ্যোতির্ময় দত্ত জানাচ্ছেন, সূর্য থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অসুবিধা শুরু হয়। দৃষ্টি আবছা লাগে। ফোটোরেটিনাইটিসের কোনও চিকিৎসা নেই। দৃষ্টি স্বাভাবিক হতে এক মাসেরও বেশি লেগে যায়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়।
চিকিৎসকদের পরামর্শ, গ্রহণ দেখুন টেলিভিশনের পর্দায়। অথবা শক্ত কার্ডবোর্ডে পিন দিয়ে ছিদ্র করুন। সেই বোর্ড দিয়ে সূর্যকে আড়াল করে পিনের মতো ছিদ্রটি সে দিকে ধরুন। তার তিন ফুট দূরে একটি সাদা কাগজ ধরুন। সূর্যগ্রহণ সেই আলপিন ছিদ্রের পথ দিয়ে এসে কাগজে প্রতিফলিত হবে। কিন্তু ওই ছিদ্র দিয়েও সূর্যের দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy