Advertisement
E-Paper

নয়া হকার-নীতি নিয়ে সংশয়

এই অবস্থায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর নতুন হকার নীতির কথা বলায় প্রশ্ন উঠেছে, এ বারেও কি মাঝপথেই থমকে যাবে ওই প্রক্রিয়া?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ০০:৪৬
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

বছর তিনেক আগে রাজ্য সরকারের হকার নীতি বাস্তবায়িত করতে উঠেপড়ে লেগেছিল কলকাতা পুরসভা। সে সময় প্রায় ৬১ হাজার হকারের আবেদনপত্র জমা পড়েছিল পুর ভবনে। কিন্তু এখন সে সবই অতীত। বস্তাভর্তি সেই আবেদনপত্র কোথায়, জানেন না কেউই। এই অবস্থায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর নতুন হকার নীতির কথা বলায় প্রশ্ন উঠেছে, এ বারেও কি মাঝপথেই থমকে যাবে ওই প্রক্রিয়া?

কলকাতা পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ২০১৪ সালে প্রথম হকার নীতি তৈরির জন্য উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য। ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকারদের আইনি বৈধতা দেওয়ার পাশাপাশি, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কোমর বেঁধে নেমেছিল পুরসভাও। পুর কর্তৃপক্ষের আশা ছিল, আইনি বৈধতা নেওয়ার জন্য আবেদনপত্রের ঢল নামবে। আবেনপত্রের তথ্য কম্পিউটারে তুলে রাখতে ১০টি কম্পিউটার ভাড়া করা হয়। আবেদনপত্র ঝাড়াই-বাছাইয়ের জন্য একটি বিশেষ দল তৈরি হয়েছিল। আবেদনপত্র রাখার জন্য আলাদা ঘরেরও ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বাস্তব হল, জমা পড়া ৬১ হাজার হকারের আবেদনপত্রের আজ কোনও খোঁজই নেই!

পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের নতুন হকার নীতিতে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের কম বয়সিরা যেন এই পেশায় না আসেন। বলা হয়েছে, হকারদের বসার কারণে পথচারী ও যানবাহনের স্বাভাবিক গতি যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, তা দেখতে হবে। হকাররা কোথায় বসবেন, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিশিষ্টজনদের নিয়ে ‘টাউন ভেন্ডিং কমিটি’র কথাও বলা আছে ওই নীতিতে। যদিও পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তিন বছর আগেই ওই ‘টাউন ভেন্ডিং কমিটি’ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তারও কোনও খোঁজ নেই আপাতত। ওই কমিটির দায়িত্বে থাকা মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘কমিটির বৈঠক সে সময় হয়েছিল। নগরোন্নয়ন দফতরের নির্দেশিকা এলে আবার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে।’’

Kolkata municipality Hawker হকার
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy