প্রতীকী চিত্র
ছোট ট্রাকের ইঞ্জিনের ভিতরে লুকিয়ে সোনা পাচার হচ্ছিল। ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) ১ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার সেই চোরাই সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে। এই সোনা পাচারের জন্য দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে ডিআরআই। তারা বেশ কিছু দিন ধরে বিদেশি সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি ডিআরআই আধিকারিকদের।
ডিআরআই সূত্রের খবর, ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত শহর বনগাঁ থেকে সোনা পাচার হয়ে কলকাতায় আসছে বলে তাদের কাছে খবর আসে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিরাটি মোড়ে ফাঁদ পেতেছিলেন অফিসারেরা। সেই সময়ে বনগাঁর দিক থেকে আসা একটি ছোট ট্রাক আটকানো হয়। ট্রাকচালক সুফল হালদার ছাড়া গাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। প্রথমে গাড়ি তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি। পরে ইঞ্জিনের ভিতরে তল্লাশি চালাতে দু’টি কাপড়ের তৈরি ছোট ব্যাগ পাওয়া যায়।
ডিআরআই জানিয়েছে, মোট ৪০ টি সোনার বিস্কুট ছিল দু’টি ব্যাগে। সবগুলিতেই বিদেশের ছাপ মারা। সব মিলিয়ে ওজন সাড়ে চার কিলোগ্রাম। বাজারদর ১ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। সুফলকে সেখানেই জেরা করা শুরু হয়। তখন সুফলই বিরাটির ভিতরে মানিক শীল নামে এক ব্যক্তির বাড়ি অফিসারদের নিয়ে যান। সুফল অফিসারদের জানান, বনগাঁ থেকে সোনা নিয়ে এসে মানিকের হাতেই তুলে দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।
শুক্রবার সকাল থেকে মানিকের বাড়িতে তল্লাশি চলে। সেখান থেকে সোনা লুকিয়ে নিয়ে যাতায়াতের জন্য প্রচুর কাপড়ের বিশেষ ব্যাগ পাওয়া যায়। শরীরের বিভিন্ন অংশে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই ব্যাগ তৈরি করা হয়েছে বলে মানিক অফিসারদের জানান। ডিআরআইয়ের দাবি, মানিক ও সুফল দু’জনেই বেশ কিছু দিন ধরে সোনা পাচারে যুক্ত বলে স্বীকার করেন।
ডিআরআই জানিয়েছে, সুফল ও মানিককে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে তাঁদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। চলতি অর্থ বর্ষে এখনও পর্যন্ত মোট ৯৫ কিলোগ্রাম চোরাই সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ডিআরআই জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy