জলমগ্ন পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশন। ছবি: সুদীপ্তা চৌধুরী সরকার
ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে রাতভর বৃষ্টিতে সপ্তাহের প্রথম দিনে বিপর্যস্ত কলকাতার মেট্রো পরিষেবা। পার্ক স্ট্রিট এবং এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের মাঝের ট্র্যাকে জল ঢুকে পড়েছে। স্টেশনের একাংশ এবং পুরো ট্র্যাকটাই জলের তলায়। ফলে সোমবার সাতসকাল থেকেই ব্যাহত মেট্রো পরিষেবা।
জানা গিয়েছে, জল জমার কারণে গিরিশ পার্ক থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ। আপ, ডাউন কোনও দিকেই মেট্রো চলছে না ওই অংশে। সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলে খবর। সপ্তাহের প্রথম দিনে সকালে মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা।
মেট্রো সূত্রে খবর, পার্ক স্ট্রিট এবং এসপ্ল্যানেডের মধ্যেকার ট্র্যাকে জল জমে থাকার কারণে ট্রেন চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষ এবং গিরিশ পার্ক থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করছে। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। ট্র্যাক থেকে জল বার করার কাজ করছেন মেট্রো কর্মীরা। ঘটনাস্থলে রয়েছেন মেট্রোর উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “আপাতত কবি সুভাষ থেকে ময়দান এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত মেট্রো চলছে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সম্পূর্ণ পরিষেবা চালু করা যাবে বলে আমরা আশা রাখছি।”
মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন অফিসযাত্রীরা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে। রাস্তাঘাটে বাস, ট্যাক্সির সংখ্যাও খুবই কম। তাই অনেকেই মেট্রোর উপর ভরসা করেছিলেন। কিন্তু ট্রেন না চলায় দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন তাঁরা। হাতেগোনা কয়েকটি বাস চলায় সেগুলিতে ভিড়ও প্রচুর। ট্যাক্সির দেখা মেলা ভার। অ্যাপ ক্যাবগুলি ভাড়া বৃদ্ধি করছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছনোই এখন কলকাতার মানুষের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্তও মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি।
এ দিকে, সোমবার সকালে ঝড়ের মাত্রা কমলেও কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়ে চলেছে। রাস্তাঘাটে জমে গিয়েছে হাঁটুজল। গাছ উপড়ে পড়েছে কোথাও কোথাও। ট্রেন পরিষেবাও ব্যাহত। শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখায় সকাল থেকে ট্রেন বন্ধ ছিল। তবে সাড়ে ৯টার পর থেকে ধীরে ধীরে ওই শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। শিয়ালদহের উত্তরে হাসনাবাদ শাখায় এখনও ট্রেন পরিষেবা বন্ধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy