কোভিডের ধাক্কায় আর্থিক মন্দার ছবি প্রায় সর্বত্র। গত বছর থেকে তার আঁচ লেগেছে কলকাতার শারদীয়া উৎসবেও। সব পুজো কমিটিই বাধ্য হয়েছে বাজেট কাটছাঁট করতে। এমন বাজারেই ৩০০ কোটি টাকার চমক দিচ্ছে দক্ষিণ কলকাতার সাবর্ণপাড়া বড়িশা সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি।
মন্দার সময় না হলেও এত বাজেটের পুজোর কথা শুনলে চোখ কপালে ওঠার কথা। উদ্যোক্তাদের কাছে খোঁজ নিতে গিয়ে যা শোনা গেল তা-ও কম চিত্তাকর্ষক নয়। গোড়াতেই স্পষ্ট করলেন, তাঁদের পুজোর বাজেট ৩০০ কোটি টাকার নয়। কিন্তু ইতিহাসের এমন এক পুজোর কথা তাঁরা এ বার সামনে আনবেন, যার বাজেট ছিল আজকের বাজারদরে ৩০০ কোটিরই।
পুজোর গোটা থিমটিই গবেষণার উপর দাঁড়িয়ে। থিমের নাম ‘৩০০ কোটির প্রস্তুতি’। পুরনো পুজো নিয়ে গবেষণার কাজটি করেছেন সম্রাট চট্টোপাধ্যায়। সেই গবেষণা অনুযায়ী, মুঘল আমলে ৪১৫ বছর আগে অধুনা বাংলাদেশের রাজশাহিতে এলাহি এক পুজোর আয়োজন করেন রাজা কংসনারায়ণ। ১৬০৬ সালের সেই পুজোয় কংসনারায়ণ খরচ করেছিলেন প্রায় নয় লক্ষ টাকা। আজকের টাকার মানে যা ৩০০ কোটিরই সমান। সেই ‘৩০০ কোটির পুজোকে’ই এ বার তাদের পুজোয় তুলে ধরবে বড়িশা সর্বজনীন। বিষয় ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন শিল্পী কৃষাণু পাল। প্রতিমা গড়ছেন সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়। আলোক শিল্পী বাবলু সরকার। আবহ সঙ্গীতে দিশারী চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন:
নিজেদের এই থিম ভাবনা নিয়ে এখনই আর বেশি খোলসা করতে নারাজ পুজোকর্তারা। শিল্পী কৃষাণু বললেন, “বিষয় ভাবনা নিয়ে আমি এখনই প্রকাশ্যে আর কিছু বলব না। তবে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি তার পিছনে রয়েছে প্রচুর গবেষণা। আমাদের চেষ্টা হবে সঠিক তথ্য পরিবেশন করে শারদোৎসবের ইতিহাসকে মানুষের কাছে তুলে ধরা। বড়িশা সর্বজনীন দুর্গোৎসবের পুজো যারা দেখতে আসবেন, তাঁরা অনেক নতুন কিছু জানতে পারবেন, এটুকু নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি।”