খাতায়-কলমে তথ্য মজুত। কিন্তু চাইলে পাওয়া যায় না। কোথাও আবার তথ্য ঘেঁটে পাওয়া যাচ্ছে বছরখানেকের পুরনো হিসেব। কিন্তু বর্তমানের হিসেব নেই। আবার কোথাও তথ্যই নেই। এই সব গরমিল দূর করতে সমস্ত তথ্যকে এক ছাতার তলায় আনতে চাইছে বিধাননগর পুর নিগম। সেই লক্ষ্যে তারা জোরকদমে তৈরি করছে ই-গভর্ন্যান্স ব্যবস্থা।
পুর নিগম সূত্রে খবর, সম্প্রতি নতুন বেতন প্রক্রিয়া চালু করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ দেখেন, কাগজ-কলমে যত পুরকর্মী রয়েছেন, বাস্তবের সঙ্গে সংখ্যা মিলছে না। এর পরেই পুর নিগমের অন্তর্তদন্তে ভুতুড়ে কর্মীদের তথ্য সামনে আসে। পুর নিগম কর্তৃপক্ষের দাবি, সম্পত্তিকর থেকে শুরু করে বিভিন্ন পুর-পরিষেবার ক্ষেত্রেও খাতায়-কলমের হিসেবের সঙ্গে বাস্তব হিসেবের তফাৎ দেখা গিয়েছে।
তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন হচ্ছে আরও কিছু ক্ষেত্রে। পুর-প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, অনুমোদনের জন্য যখন কেউ বাড়ির প্ল্যান জমা দিচ্ছেন, তা পরীক্ষা করতে গিয়ে খাতায় থাকা তথ্যের সঙ্গে সেটি মিলছে না। কখনও দেখা যাচ্ছে, তথ্য আপ়ডেট করা হয়নি। যেমন, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় পুরনো বাড়ি কিনে এক বাসিন্দা প্ল্যান অনুমোদনের জন্য গিয়েছিলেন পুরনিগমে। সেই বাড়ি পরীক্ষা করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ দেখেন, ওই জমি সরকারি প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ফলে সমস্যা বাড়ে। কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে, আবাসিক প্লট হিসেবে চিহ্নিত জায়গায় বাণিজ্যিক কাজ চলছে। অথচ তার হিসেব নেই পুর-প্রশাসনের খাতায়।
এই সমস্ত কারণেই ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে সব তথ্যকে হাতের মুঠোয় আনতে চলেছেন পুর নিগম কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হলে সময় ও শ্রমের পাশাপাশি বছরে কয়েক কোটি টাকাও বাঁচানো সম্ভব হবে। তবে তথ্য গরমিলের কথা পুরোপুরি স্বীকার না করলেও পুর-প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘একটি পুর নিগমের যাবতীয় তথ্য খুব সহজে জানতে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সময়, শ্রম এবং অর্থ— সবই বাঁচানো সম্ভব হবে।’’
বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘ই-গভর্ন্যান্স ব্যবস্থা দ্রুত চালু করতে কাজ শুরু হয়েছে। এটি কার্যকর হলে পুর নিগমের কাজে গতি ও স্বচ্ছতা আসবে। বাসিন্দাদেরও সুবিধা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy