কলকাতা-সহ গুরুগ্রাম, মণিপুরের আট জায়গায় তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ছবি: প্রতীকী
শহরে আবারও ইডির হানা। কলকাতা-সহ গুরুগ্রাম, মণিপুরের আট জায়গায় তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। উদ্ধার হল নগদ ৩৪ লক্ষ টাকা। অভিযোগ, মণিপুরের একটি চিট ফান্ড সংস্থা বিনিয়োগকারীদের থেকে টাকা তুললেও তা ফেরত দেয়নি। সেই টাকা তছরুপ করেছে। সেই অভিযোগে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দেশের আট জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি।
টুইটারে ইডি জানিয়েছে, মণিপুরের নামজিংবা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। তার তদন্তে নেমেই এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। তল্লাশি করে নগদ ৩৪ লক্ষ টাকা, সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কার কার থেকে কত টাকা হাতিয়েছে সংস্থা, নথিগুলিতে তা-ই লেখা রয়েছে। এই মামলার মূল অভিযুক্ত, নামজিংবা গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সানাসাম জ্যাকি সিংহকে ২১ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে এখন ইডির হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
অভিযুক্ত সানাসামের দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ওই দুই অ্যাকাউন্ট থেকে ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ১ হাজার ৯৮৯ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গুরুগ্রাম আর মণিপুরে সানাসামের চারটি অস্থাবর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের থানায় টাকা নয়ছয় নিয়ে সাতটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে ইডি। জানতে পারে, ১৫ হাজারেরও বেশি বিনিয়োগকারীকে প্রতারণা করেছে ওই সংস্থা। ইডি দাবি করেছে, বিনিয়োগকারীদের থেকে ৫৮০ কোটি টাকা তুলেছে সংস্থা। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বিনিয়োগের কয়েক গুণ ফেরত দেবে। ২০২০ সালের প্রথম দিকেই সংস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। এই নিয়ে এখন তদন্ত করছে ইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy