E-Paper

থানাগুলির থেকে তথ্য তলব নির্বাচন কমিশনের

বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য পুলিশে ইতিমধ্যে থানার আইসি বদলির কাজ শুরু করেছে নবান্ন। গত বুধবারই নবান্ন প্রথম দফায় ১৭৫ জন ইনস্পেক্টরকে বদলি করেছে। যার মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন থানার আইসি এবং ওসি, যাঁদের পোস্টিংয়ের মেয়াদ তিন বছর অতিক্রান্ত হয়েছিল।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৪৮

—প্রতীকী চিত্র।

বিধানসভা নির্বাচন হতে এখনও মাস তিনেক বাকি রয়েছে। তবে নির্বাচনের দিন ঠিক না হলেও পুলিশের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য জানার কাজ শুরু করল নির্বাচন কমিশন। লালবাজার সূত্রের খবর, সর্বশেষে বিধানসভা এবং লোকসভা ভোট প্রক্রিয়া শুরুর পরে নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক গোলমাল বা মামলা রুজু হয়েছিল কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়েছে থানাগুলির কাছে। পাশাপাশি সেই সময়ে ওই গোলমালকে কেন্দ্র করে কতগুলি মামলা রুজু হয়েছিল ও বর্তমানে সেগুলি কী অবস্থায়, তা পুলিশের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। থানাগুলি সম্প্রতি সেই নির্দেশ পাওয়ার পরে লালবাজারের মাধ্যমে রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য পুলিশে ইতিমধ্যে থানার আইসি বদলির কাজ শুরু করেছে নবান্ন। গত বুধবারই নবান্ন প্রথম দফায় ১৭৫ জন ইনস্পেক্টরকে বদলি করেছে। যার মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন থানার আইসি এবং ওসি, যাঁদের পোস্টিংয়ের মেয়াদ তিন বছর অতিক্রান্ত হয়েছিল। কোন কোন থানার আধিকারিকের মেয়াদ আগামী নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে তিন বছর হয়ে যাচ্ছে, তার তালিকা তলব করেছিল নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও থানার ওসি বা আইসি, এমনকি, অফিসারও টানা তিন বছর এক থানা বা জেলায় থাকলে তাঁদের বদলি হতে হবে ভোটের আগে।

নির্বাচন কমিশনের তরফে পুলিশের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু থাকা অবস্থায় ক’টি মামলা হয়েছে, কত জন গ্রেফতার হয়েছে। সেই মামলাগুলির তদন্ত শেষ করে চার্জশিট হয়েছে কিনা, জানাতে হবে কমিশনকে। তেমন ভাবেই কাদের বিরুদ্ধে বা কত জনের বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশিট জমা দিয়েছে, তা-ও জানাতে হবে। এক পুলিশকর্তা জানান, ভোটের সময়ে দায়ের হওয়া মামলার বিচার শেষ হয়ে থাকলে কত জন সাজা পেয়েছেন বা খালাস হয়েছেন বা কতগুলি মামলার বিচার এখনও চলছে, তা জানাবে থানা। সূত্রের খবর, ওই সময় খুন, খুনের চেষ্টা, ডাকাতির ঘটনা ঘটলে তা-ও রিপোর্ট আকারে জানাতে হবে।

পুলিশের একাংশের মতে, গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের দিন কলকাতা পুলিশ এলাকায় তেমন গোলমাল না হলেও নির্বাচন প্রক্রিয়া চলার সময়ে বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘটেছে। আবার রাজ্য পুলিশ এলাকায় একাধিক গোলমাল ঘটেছে। সেগুলি নিয়ে পুলিশ কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করেছে কিনা, তা-ও দেখার জন্য ওই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে মত ওই অংশের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Election Commission Assembly Election

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy