দেখা হল। কিন্তু বৈঠক হল না। নরেন্দ্র মোদী কলকাতা সফরে এলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর একান্তে বৈঠক হবে। এমন জল্পনাই রাজ্যজুড়ে চলছিল গত কয়েক দিন ধরে। জল্পনায় ইতি। রবিবার গৌড়ীয় মঠের অনুষ্ঠান সেরে প্রধানমন্ত্রী যখন দিল্লির উড়ানে পা রাখার জন্য কলকাতা বিমান বন্দরে পৌঁছলেন, তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর শুধু সৌজন্য সাক্ষাৎ হল।
গৌড়ীয় মঠের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় এলেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। বিভিন্ন শিবির থেকে এমন কথাই শোনা যাচ্ছিল। কোথায় বৈঠক হবে, সে নিয়ে নিশ্চিতভাবে কেউই কিছু বলতে পারেননি। কিন্তু কলকাতা বিমান বন্দরে মোদী-মমতা বৈঠক হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বা বিদায় জানাতে মুখ্যমন্ত্রী বিমান বন্দরে যাবেন। সেখানেই একান্তে কিছুক্ষণের জন্য দু’জনের কথা হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। এই বৈঠক শুধু মাত্র সরকারি নয়, বরং রাজনৈতিক বৈঠক হতে চলেছে বলেও বিভিন্ন মহল মত প্রকাশ করতে শুরু করেছিল। বাংলায় বাম-কংগ্রেস সম্ভাব্য জোটের আবহে মোদী-মমতা বৈঠক অন্য কোনও রাজনৈতিক সমীকরণের বার্তা বয়ে আনবে বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু, সব জল্পনায় জল ঢেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও একান্ত বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী বসলেন না। সন্ধ্যায় গৌড়ীয় মঠের অনুষ্ঠান সেরে নরেন্দ্র মোদী যখন দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছলেন, তখন তাঁকে বিদায় জানানোর জন্য আগে থেকেই সেখানে হাজির মমতা। সঙ্গে কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দাঁড়িয়েই দু’জনের মধ্যে সৌজন্যমূলক দু’একটি কথা হয়। তার পর প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিশেষ বিমানে উঠে পড়েন।
প্রধানমন্ত্রীর এ বারের কলকাতা সফর পুরোটাই সড়ক পথে ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে বিমানবন্দরে নামার পরে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় সড়ক পথে সোজা পৌঁছয় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সেখানে গৌড়ীয় মঠ ও মিশনের শতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে তিনি ফের সড়কপথে বাগবাজারে গৌড়ীয় মঠ ও মিশনে যান। যে সব রাস্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় গিয়েছে সেই সব রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।