E-Paper

কলকাতার কড়চা: জ্ঞান-চর্চার সংহত পরম্পরা

কলকাতার গ্রন্থাগার-প্রতিষ্ঠা ধারার শুরুটা কোন সময়ে? ইতিহাস বলছে, সতেরো শতকের একেবারে শেষে, খ্রিস্টান মিশনারিদের হাত ধরে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫ ০৯:০৮
আলিপুর জাতীয় গ্রন্থাগার।

আলিপুর জাতীয় গ্রন্থাগার। —ফাইল চিত্র।

লাইব্রেরির সে-যুগ গেছে— এ মত অনেকেরই। পাড়ায় পাড়ায় কত না গ্রন্থাগার, তাদের আগেকার রমরমা তো নেই-ই, সদস্যেরও অভাব। নতুন প্রজন্ম পেয়ে গেছে কম্পিউটার আর আন্তর্জাল, দুইয়ে মিলে বিদ্যাচর্চার উপকরণ জোগাড়ের পন্থা গেছে পাল্টে। তবু এ কথা সত্য, এ শহর ও তার বাইরে গোটা রাজ্যেরই তরুণ গবেষক, বর্তমান ও পরবর্তী কালের শিক্ষক-অধ্যাপকদের কাছে কলকাতার পুরনো গ্রন্থাগারগুলি এখনও আগ্রহের গন্তব্য— কারণ তাদের সমৃদ্ধ গ্রন্থ, নথি, পত্রপত্রিকার ভান্ডার। আর কে না জানে, আলিপুরে ন্যাশনাল লাইব্রেরি তথা জাতীয় গ্রন্থাগার এ দিক থেকে অগ্রগণ্য!

কলকাতার গ্রন্থাগার-প্রতিষ্ঠা ধারার শুরুটা কোন সময়ে? ইতিহাস বলছে, সতেরো শতকের একেবারে শেষে, খ্রিস্টান মিশনারিদের হাত ধরে। ১৭০৯-এ তাঁদের প্রচেষ্টায় একটি ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারের বিকাশের খবর মেলে, ১৭৫৭ অবধি নথিপত্রে এ ধরনের গ্রন্থাগারের উল্লেখও। এগুলিতে থাকত মুখ্যত ইংরেজি ভাষার বইপত্র, পাঠকও মূলত ইংরেজরাই। হিকির দ্য বেঙ্গল গেজ়েট-সহ নানা পত্রপত্রিকায় মুদ্রিত বিজ্ঞাপনও ভ্রাম্যমাণ ও গ্রাহক চাঁদা-ভিত্তিক নানা গ্রন্থাগারের অস্তিত্বের সাক্ষী। ১৭৮৪-তে এশিয়াটিক সোসাইটির সঙ্গে তার লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা খুলে দিল গ্রন্থাগার-ধারার নতুন দুয়ার।

১৮৩৬-এ প্রতিষ্ঠা ‘ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি’র, ২৪ জন উদ্যোক্তার মধ্যে মাত্র দু’জন বাঙালি। তিনশো টাকা অনুদান দিয়ে এর ‘প্রোপ্রাইটর’ হন দ্বারকানাথ ঠাকুর। নীতিগত ভাবে এ বেশ অন্য রকম, সেল্ফ-ফিনান্সিং পদ্ধতিতেও যে একটি জনগ্রন্থাগার চালানো যেতে পারে তার উদাহরণ। জাতি-ধর্ম-বর্ণের ভেদরেখা মুছে সাধারণের জন্য গ্রন্থসম্ভার খুলে যাচ্ছে, এমন কাণ্ড তখন খাস ব্রিটেনেও হয়নি। সে বছর ২১ মার্চ অস্থায়ী গভর্নর জেনারেল চার্লস মেটকাফের পৃষ্ঠপোষণায় গ্রন্থাগার খুলল সবার জন্য— গোড়ায় চব্বিশ পরগনার মুখ্য শল্যবিদ এফ পি স্ট্রং-এর ১৩ এসপ্লানেড রো ঠিকানার বাসভবনে, পরবর্তী কালে ফোর্ট উইলিয়াম ঘুরে ১৮৪৪-এ মেটকাফ হল-এ। ১৮৯০ সালে কলকাতা পৌরসভা এই পাবলিক লাইব্রেরির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় বহনে সম্মত হয়; এর পরের বছর কলকাতায় সরকারের একাধিক বিভাগীয় গ্রন্থাগার একত্র করে তৈরি হয় ‘ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি’। ১৯০৩ সালের ৩০ জানুয়ারি তদানীন্তন ভাইসরয় লর্ড কার্জ়ন ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি ও ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরিকে সংযুক্ত করে নতুন ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি খুলে দেন সবার জন্য। স্বাধীনতা-উত্তর এই লাইব্রেরিই খ্যাত ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি’ বা জাতীয় গ্রন্থাগার নামে।

এ তো একটা পর্বের ইতিহাস-সংক্ষেপ। তার পর থেকে সম্প্রতিকাল পর্যন্ত ন্যাশনাল লাইব্রেরির (ছবি) যে যাত্রাপথ, তাতেও মিশে কত না গল্প, ইতিহাসের উপাত্ত। তারও বড় কথা, এই মহাগ্রন্থাগার নিজেও হয়ে উঠেছে বিদগ্ধ মহলের বৌদ্ধিক চর্চার বিষয়, জাতীয় গ্রন্থাগার নিয়ে অজস্র পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে বহু প্রবন্ধ। এমনই ৭০টি প্রবন্ধ দু’মলাটে বেঁধেছে পত্রপত্রিকায় ভারতের জাতীয় গ্রন্থাগার (১৮৩৬-২০১৫) বই (প্রভা প্রকাশনী)। লর্ড কার্জ়ন, মৌলানা আবুল কালাম আজাদের প্রাসঙ্গিক ভাষণও মুদ্রিত। সম্পাদনা করেছেন পার্থ সারথী দাস, স্বগুণা দত্ত ও অসিতাভ দাশ। আজ, ১২ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির জীবনানন্দ সভাঘরে আনুষ্ঠানিক প্রকাশ, থাকবেন সুরঞ্জন দাস, কিশোর কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রামকুমার মুখোপাধ্যায়।

অন্য আলোয়

নর্মাল ইস্কুলে সহপাঠীদের সঙ্গে মিশতে পারেননি বালক রবীন্দ্রনাথ। “অধিকাংশের সংস্রব এত অশুচি মনে হত...”, লিখছেন পরিণত বয়সে জীবনস্মৃতি-তে। কিশোর রবীন্দ্রনাথ তাঁর বৌঠাকুরানীর ফরমায়েশে অন্দরমহলে সরু করে সুপুরি কেটে তারিফ পেতেন, তিনিই সেকালের প্রেসিডেন্সি কলেজে উপহসিত হন তাঁর লম্বা চুল আর মিহি গলার জন্য। মেয়েদের অন্দরমহল আর অন্তরমহল দুই পরিসরেই মনে মনে বসবাস রচনা যাঁর, সেই রবীন্দ্রনাথই হেমন্তবালা দেবীকে চিঠিতে লেখেন, ‘আমরা সকলেই অর্ধনারীশ্বর’। লিঙ্গ-রাজনীতির জটিল পরত, আত্মপরিচিতির সঙ্কট, মেয়েদের জীবন প্রণয় প্রতিবাদ নিয়ে রবীন্দ্ররচনা-নির্ভর এক নারীবাদী মঞ্চ-অভিনয় নির্মাণ করেছে জলপাইগুড়ির সংস্কৃতিগোষ্ঠী ‘ইমন’। আজ জ্ঞান মঞ্চে সন্ধে সাড়ে ৬টায় সেই নিবেদন, ‘ছিয়ে ছিয়ে রাধা’। নেপথ্যস্বর জয় গোস্বামী বিজয়লক্ষ্মী বর্মন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা শ্রীকান্ত আচার্য ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রাবণী সেন জয়তী চক্রবর্তী প্রমুখের, কল্পনা-পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় শৈবাল বসু।

প্রতিনিধি

পুতুলনাটক ঘিরে আয়োজন সাগরপারে। সার্ক কালচারাল সেন্টার শ্রীলঙ্কা-র আয়োজনে পুতুলনাটক উৎসব কলম্বোয়, ডাক পেয়েছে ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার নানা পুতুলনাটকের দল। কলকাতারও আনন্দ, এ শহরের পুতুলনাট্য গোষ্ঠী ‘ডলস থিয়েটার’ আমন্ত্রিত। আগামী ১৫-১৭ জুলাই, তিন দিন নানা অনুষ্ঠান: সেমিনার, প্রদর্শনী, অভিনয়। আম্বালানগোডা শহর ঐতিহ্যবাহী মুখোশ ও পুতুল-শিল্পীদের ঠিকানা, তাঁদের সঙ্গে হবে ভাবনার বিনিময়, আলোচনা হবে তিন দেশের পুতুলনাচ-পরম্পরা নিয়ে। সুদীপ গুপ্তের নেতৃত্বে ডলস থিয়েটার মঞ্চস্থ করবে তাদের দর্শকধন্য প্রযোজনা, টেমিং অব দি ওয়াইল্ড।

পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীন দেশ হিসেবে লাটভিয়ার আত্মপ্রকাশ ১৯৯১ সালে। চেনা রুশ ঘরানার ছবি থেকে মূলধারার স্টুডিয়ো ব্যবস্থা ছুঁয়ে একুশ শতকে তার চলচ্চিত্রযাত্রা কোন বিন্দুতে, তা-ই নিজের চোখে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে ভবানীপুর ফিল্ম সোসাইটি, পূর্ব ইউরোপের দেশটির ছবি নিয়ে উৎসবের আয়োজনে। ১৭-১৮ জুলাই নন্দন ৩-এ বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে মোট চারটি ছবি: এজেরা সোনাটে, পিপল আউট দেয়ার, মাদার আই লাভ ইউ ও জিমেক্লিস। অন্য দিকে, দিল্লির ইরান কালচার হাউস-এর সহায়তায় সিনে সেন্ট্রাল কলকাতা ওই প্রেক্ষাগৃহেই আগামী ১৪ ও ১৬ জুলাই বিকেলে দেখাবে ইরানের সাম্প্রতিক ৩টি ছবি: হুক, ক্যাপ্টেন, আনফিনিশড ন্যারেশন। দেবাশিস চক্রবর্তী বলবেন ইরানের ছবির অতীত-বর্তমান নিয়ে।

সদরে মফস্‌সল

শুধু নিজেদের প্রযোজনা নয়, থিয়েটারে সবাইকে নিয়ে চলার প্রয়াসে বছরভর নানা কাজ করে ‘অনীক’ নাট্যদল। ২০২৩ থেকে শুরু হয়েছে ‘সদরে আসছে মফস্‌সল’: কলকাতার বাইরের নানা নাট্যদলকে আমন্ত্রণ করা হয়। তপন থিয়েটারে প্রতি মাসে দু’টো সোমবার জেলার চারটি নাট্যদলের অভিনয়ে দর্শকদের প্রবেশ অবাধ, সব ব্যবস্থা অনীক-এর। এই ডাকে সাড়া দিয়ে বহু নাট্যদল কলকাতার মঞ্চে প্রথম অভিনয় করেছে। আগামী ১৪ জুলাই এই কর্মসূচির নিরানব্বই ও শততম অভিনয়; লাভপুর, বীরভূমের দিশারী সাংস্কৃতিক চক্রের স্থলপদ্ম ও কোচবিহার স্বপ্নউড়ান-এর এখানে থেমো না। তপন থিয়েটারে অনুষ্ঠান বিকেল ৫টায়, থাকবেন গত দু’বছরে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া একশোটি নাট্যদলের প্রতিনিধি ও গুণিজন।

অগ্রপথিক

জরুরি অবস্থা-পরবর্তী সময়ে ভারতে যাঁরা স্বাধীন রাজনৈতিক তথ্যচিত্রের ধারা গড়ে দেন, তপন কুমার বসু তাঁদের অগ্রপথিক। গণতন্ত্রের সঙ্কট, কৃষক আন্দোলন, রেলকর্মী ধর্মঘট তাঁর ছবির উপজীব্য। ভাগলপুরের জেলবন্দিদের উপর পুলিশের কুখ্যাত ‘অপারেশন গঙ্গাজল’-এর ঘটনাসূত্রে তাঁর ছবি অ্যান ইন্ডিয়ান স্টোরি তুলে ধরে পুলিশি অত্যাচারের নির্মমতা; ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা ঘিরে তৈরি ভোপাল: বিয়ন্ড জেনোসাইড সাড়া ফেলে দেশে-বিদেশে। মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রামী এই শিল্পী প্রয়াত হয়েছেন এ বছর, তাঁর স্মরণে পিপল’স ফিল্ম কালেক্টিভ ১৩ জুলাই সন্ধ্যা ৬টায় সুজাতা সদনে আয়োজন করেছে অনুষ্ঠান ‘রিমেম্বারিং তপন বোস’। দেখানো হবে অ্যান ইন্ডিয়ান স্টোরি, বলবেন তপন বসুর বহু তথ্যচিত্রের সঙ্গী সুহাসিনী মুলে।

সময়ের আঁচড়

স্মৃতি, নৈঃশব্দ্য, দৈনন্দিন জীবনে মিশে থাকা কবিতা— এই সবই ধারণ করতে পারেন এক জন শিল্পী, তাঁর চিত্রকৃতিতে। আবার চার পাশের পরিবেশ-প্রতিবেশ, পাল্টে-যাওয়া সময়ের আঁচড়ও জায়গা পায় সেখানে। কেরলের চিত্রশিল্পী টম ভট্টকুজির চিত্রযাত্রায় মিশে আছে এই সবই। শান্তিনিকেতন, বরোদা হয়ে প্রবাসজীবনের শিক্ষা ও জীবন-অভিজ্ঞতা মিলেমিশে থাকে তাঁর ছবিতে, জড়িয়ে থাকে রেনেসাঁস রিয়েলিজ়মের সঙ্গে সুরিয়ালিস্ট স্বর, আবার কেরলের শান্ত অন্তরঙ্গ পারিবারিকতাও (ছবি)। ইন্ডিয়া আর্ট ফেয়ার ও কোচি বিয়েনেল-এ তাঁর ছবি আদৃত হয়েছে আগেই, তবে এই প্রথম কলকাতায় তথা ভারতে হচ্ছে শিল্পীর একক চিত্রপ্রদর্শনী। ইনস্টিটিউট ফর ইন্ডিয়ান কনটেম্পোরারি আর্ট-এর আয়োজনে বিড়লা অ্যাকাডেমি অব আর্ট অ্যান্ড কালচার-এ ‘দ্য শ্যাডোজ় অব অ্যাবসেন্স’, আর শিবকুমারের কিউরেশনে। আজ থেকে ২০ জুলাই, দুপুর ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা।

নগর-নাথ

অখণ্ড বঙ্গে জগন্নাথ-প্রীতি প্রসারে চৈতন্যদেবের বিপুল প্রভাব রয়েছে। ইতিহাস বেয়ে ক্রমে শহর কলকাতার বনেদি পরিবারে ও তার বাইরে জনপরিসরেও জগন্নাথের রথযাত্রা হয়ে ওঠে ধর্ম-সংস্কৃতির স্বতন্ত্র চিহ্ন, সাক্ষ্য দেবে হুতোম, প্রাণকৃষ্ণ দত্ত থেকে শুরু করে সেকালের পত্রপত্রিকার বয়ানও। কলকাতায় শোভাবাজার রাজবাড়ি, দর্জিপাড়ার মিত্রবাড়ি, কাশীপুর নন্দীবাড়িতে গৃহদেবতা নারায়ণশিলাই রথারূঢ় হন প্রথামাফিক, অন্য দিকে শোভারাম বসাক, রাজা রাজেন্দ্র মল্লিকের অথবা বাঘওয়ালা গোঁসাইবাড়ির জগন্নাথ মন্দির, বৌবাজারে নীলমণি দে পরিবার বা বেহালায় সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রা ও জগন্নাথ-পূজনও রীতিবৈচিত্রে অনন্য। এই নিয়েই সোমা মুখোপাধ্যায়ের বই, ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে কলকাতার জগন্নাথ (অনুভূতি প্রকাশন)। ছবিতে কালীঘাটে আদিগঙ্গার ঘাটের জগন্নাথ।

বর্ষাজীবন

ঘন মেঘে সব অস্পষ্ট হয়ে এল। আর দৃষ্টি চলে না। পাড়ায় আর গান গাইতে আসে না বোষ্টমী, ফ্ল্যাটবাড়িতে ঘরের মধ্যে ব্যাঙ আসার জো নেই, ব্যাঙ তাড়াতে তাই দরকার নেই তুষ্টুরও। একুশ শতকে স্কুলপড়ুয়ারা ‘রেনি ডে’ কাকে বলে জানে কি? ইস্কুল যায়নি তো কী, ঘরেই বিস্তর হোমওয়ার্ক আর প্রজেক্টের কাজ, কম্পিউটারে মুখ গোঁজা। ও-বাড়ির রঞ্জনের এ-বাড়ি আসার সময় নেই। বৃষ্টি নামল দেখছি। ছাতাটা খুঁজে দেবে যে, সেই সৃষ্টিধরই বা কোথায়? মিষ্টি লজঞ্জুস এনে দেবে কে? আষাঢ়-শেষের নিম্নচাপের বৃষ্টিতে কলকাতা ভাসল, ডুবল, আবার উঠলও... বর্ষার সহজ পাঠ চিরায়ত সহজ, নগরজীবন শুধু জটিল থেকে জটিলতর। হঠাৎ-বৃষ্টিতে দোকান কি গ্যারাজের সামনে আশ্রয় নেওয়া অপ্রস্তুত লোকেরও অভাব যে ডেকে বলা যাবে: ভিজে যাচ্ছেন যে, ভিতরে আসুন!

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rabindranath Tagore Jagannath Alipore

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy