গত শুক্রবার রাতে মধ্যমগ্রামে একটি ব্যাঙ্কের এটিএম ভেঙে টাকা লুঠের ঘটনায় কলকাতা বিমানবন্দরকে সতর্ক করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এটিএম লুঠ করার পরে একটি সাদা গাড়ি করে বেরিয়ে গিয়েছিল ডাকাতদলটি। এটিএমের কাছে রাস্তায় থাকা একটি সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ওই গাড়ির ছবি পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের সন্দেহ, পরের দিন শনিবার, ১৪ মে সকালে শহর থেকে বিমানে করে পালিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাঁদের আরও অনুমান, ওই সাদা গাড়িটি করেই ডাকাত দলটি কলকাতা বিমানবন্দরে
নেমে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, সাদা গাড়ির ছবি পেলেও তার নম্বর এখনও পর্যন্ত পায়নি পুলিশ। শুধু গাড়িটির ডান দিকে একটি চিহ্ন পরিষ্কার করে দেখা গিয়েছে। ১৩ মে গভীর রাত থেকে ১৪ মে সারা দিনে কলকাতা বিমানবন্দরে যত গাড়ি ঢুকেছে, সেগুলির ছবির সঙ্গে সাদা গাড়ির ওই চিহ্ন মিলিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, ‘‘এক জন ডাকাতের ছবিও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, বিমানবন্দরে এত যাত্রী যাতায়াত করেন, তার মধ্যে ওই যাত্রীকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। তার চেয়ে গাড়ি খুঁজে বার করাটা তুলনায় সহজ।’’
জানা গিয়েছে, এক বার গাড়িটিকে চিহ্নিত করা গেলে বিমানবন্দরে রাখা বিভিন্ন ক্যামেরায় পরপর ওঠা ছবি বার করে ফেলা যাবে। সেই ছবি থেকে জানা যাবে, গাড়ি থেকে কারা নেমেছে, তারা কোথায় গিয়েছে, কোন উড়ানে গিয়েছে, এমনকী কোন শহরে গিয়েছে— সে সমস্ত তথ্য।
সূত্রের খবর, গত শুক্রবার প্রথমে নিমতার একটি এটিএম লুঠ করতে গিয়েছিল ওই দুষ্কৃতী-দলটি। কিন্তু, সেই এটিএম তারা লুঠ করতে পারেনি। নিমতার সেই এটিএম মেশিন ভাঙার চেষ্টা করার সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের মুম্বইতে সতর্ক বার্তা পৌঁছে যায়। সেই সময়ে এক ডাকাতের ছবিও উঠে যায় এটিএমের সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেই ব্যাঙ্কের তরফে স্থানীয় পুলিশকে রাতেই সেই খবর দেওয়া হয়। পুলিশ পৌঁছোনর আগেই অবশ্য নিমতা থেকে বেরিয়ে মধ্যমগ্রামের এটিএম থেকে টাকা লুঠ করে পালায় ডাকাতেরা।
এর আগে, ৩ মে রাতে দমদমের নর্দার্ন অ্যাভিনিউ এবং নাগেরবাজারের প্রাইভেট রোডে যথাক্রমে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম লুঠ করে পালিয়েছিল ডাকাতদল। পুলিশ জানায়, দু’টি ক্ষেত্রেই গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএম মেশিন কেটে টাকা হাতানো হয়েছিল। সেই দিন প্রথমে এটিএমের ভিতরের সিসিটিভির সংযোগ কেটে দিয়েছিল ডাকাতেরা। তার আগে হাওড়ার ডোমজুড়ে একই কায়দায় এটিএম থেকে টাকা লুঠ হয়েছে। সম্প্রতি বর্ধমানেও এটিএম ভেঙে টাকা লুঠ হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, খুব সম্ভবত একটাই দল পরপর এটিএম থেকে টাকা লুঠ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy