Advertisement
E-Paper

বাবা খালাস, ছেলে জেলেই

বাবা বিলকুল খালাস। ছেলেকে থাকতে হচ্ছে জেলেই।তথ্যপ্রমাণ না থাকায় রেড রোডে বায়ুসেনার কর্পোরাল অভিমন্যু গৌড়কে চাপা দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় খালাস পেয়ে গেলেন প্রাক্তন বিধায়ক মহম্মদ সোহরাব।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৭ ০১:৪৭
সাম্বিয়া সোহরাব। ফাইল চিত্র

সাম্বিয়া সোহরাব। ফাইল চিত্র

বাবা বিলকুল খালাস। ছেলেকে থাকতে হচ্ছে জেলেই।

তথ্যপ্রমাণ না থাকায় রেড রোডে বায়ুসেনার কর্পোরাল অভিমন্যু গৌড়কে চাপা দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় খালাস পেয়ে গেলেন প্রাক্তন বিধায়ক মহম্মদ সোহরাব। তবে তাঁর ছেলে সাম্বিয়াকে জেলেই থাকতে হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুন ও খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় বিচার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

২০১৬-র ১৩ জানুয়ারি ভোরে রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের মহড়া চলাকালীন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে একটি বেপরোয়া গাড়ি পিষে দিয়েছিল অভিমন্যুকে। পুলিশ জানতে পারে, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বড়বাজারের প্রাক্তন বিধায়ক মহম্মদ সোহরাবের ছেলে সাম্বিয়া। ওই বছরের ১০ মার্চ ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। ৩৫১ পাতার চার্জশিটে ৮২ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ছিলেন সেনা অফিসারেরাও। সাম্বিয়ার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়। এ দিন আদালত তার সঙ্গে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর ধারাও প্রয়োগ করতে বলেছে। সাম্বিয়ার দুই বন্ধু শানু ও জনি এবং বাবা মহম্মদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা সাম্বিয়াকে পালাতে সাহায্য করেন। অভিযুক্তদের আইনজীবী ফজলে আহমেদ শুক্রবার বলেন, ‘‘অভিযুক্তেরা কেউই ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করে নগর দায়রা আদালতের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের তরফে জমা দেওয়া প্রমাণ খতিয়ে দেখার পরে শানু, জনি ও মহম্মদকে বাদ দিয়ে মূল মামলার বিচার শুরু করতে বলেছেন বিচারকশঙ্করমণি ত্রিপাঠী। তবে সাম্বিয়াকে মুক্ত করা হয়নি মামলা থেকে।’’

পুলিশ জানায়, সোহরাব, শানু ও জনি তিন জনই বর্তমানে জামিনে ছিলেন। সাম্বিয়া জেল হেফাজতে রয়েছেন। ওই তিন জনকে বাদ দিয়ে মূল মামলার বিচার শুরু করার যে নির্দেশ বিচারক দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে লালবাজার। রেড রোডের ওই ঘটনায় দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়েছিল সেনাবাহিনী। যে ভাবে অভিমন্যুর মৃত্যু হয়, তা মেনে নিতে পারেননি সেনা অফিসারেরা। অভিমন্যুর পরিবারও দ্রুত দোষীর শাস্তি চেয়েছিলেন।

Release Jail Md. Sohrab
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy