Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে রেলে চাকরির টোপ

রেলে কাজ জুটিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা নতুন নয়। কিন্তু এ বার ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে রেলে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ! ওই প্রতারণা চক্রের আঁতুড়ঘর খাস কলকাতায়। রবিশঙ্কর গিরি নামে দিঘার এক যুবক রাজমিস্ত্রির আট লক্ষেরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভবানীপুরের দুই বাসিন্দাকে মঙ্গলবার রাতে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৪ ০২:৪৩
Share: Save:

রেলে কাজ জুটিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা নতুন নয়। কিন্তু এ বার ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে রেলে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ!

ওই প্রতারণা চক্রের আঁতুড়ঘর খাস কলকাতায়। রবিশঙ্কর গিরি নামে দিঘার এক যুবক রাজমিস্ত্রির আট লক্ষেরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভবানীপুরের দুই বাসিন্দাকে মঙ্গলবার রাতে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম প্রলয় বাগচী ও বিভাস ভট্টাচার্য। প্রতারিত যুবক প্রতারণার বিষয়টি ধরে ফেলায় জালিয়াতেরা তাঁকে খুনেরও হুমকি দিয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।

রবিশঙ্কর পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, মাসখানেক আগে প্রলয় ও বিভাসের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। প্রলয় তাঁকে জানায়, রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (আরআরবি)-এর কর্তাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। রবিশঙ্করের অ্যাডমিট কার্ড পেলে সে তার চাকরির চেষ্টা করতে পারে।

রবিশঙ্করের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ায় প্রলয় জানায়, আরআরবি-র এক কর্তার সঙ্গে তার কথা হয়েছে এবং কয়েক লক্ষ টাকা দিলে পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্যানেলে রবিশঙ্করের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। জমিজমা আর মায়ের গয়না বেচে এবং ধার নিয়ে আট লক্ষেরও বেশি টাকা জোগাড় করে রবিশঙ্কর সবটাই দেন প্রলয়কে। কিছু দিন পরে প্রলয় তাঁকে একটি ওয়েবসাইটে উত্তীর্ণদের তালিকায় তাঁর দেখায়। তাঁকে আরআরবি-র নাম ছাপানো নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়।

কাজে যোগ দিতে গিয়ে রবিশঙ্কর জানতে পারেন, প্রলয়ের দেওয়া নিয়োগপত্র ভুয়ো তো বটেই। এমনকী যে-ওয়েবসাইটে তিনি উত্তীর্ণদের তালিকায় নিজের নাম দেখেছিলেন, সেটিও তৈরি করেছিল প্রতারকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE