বছর দশেক আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নামী আইসক্রিম তৈরির কারখানাটি। রবিবার সকালে আগুন লেগে সেটি পুরো পুড়েই গেল। ঘটনাস্থল খিদিরপুর মোড়ের কাছে ডায়মন্ড হারবার রোড। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।
দমকল সূত্রের খবর, বন্ধ কারখানাটি ভেঙে এখন সংস্কারের কাজ চলছে। চারতলা বাড়িটির দোতলায় এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ঝালাইয়ের কাজ করছিলেন কর্মীরা। আচমকাই আগুনের ফুলকি নীচে জমে থাকা ফোমের উপরে পড়ে। মুহূর্তে ধরে যায় আগুন। তা ছড়িয়ে পড়ে কারখানার চার পাশে। চিৎকার শুরু করেন শ্রমিকেরা। ওই কারখানার পাশেই তৈরি হচ্ছে একটি বহুতল। আগুন লেগেছে শুনে সেখানকার কর্মীরাও ছুটে আসেন। চলে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
পুলিশ জানিয়েছে, কারখানার ভিতরে আটকে থাকা কর্মীরা কোনও ভাবে ছাদে উঠে পাইপ বেয়ে নেমে আসেন। তাঁদের নামতে সাহায্য করেন এলাকাবাসীরাই। তাঁরাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। কিছুক্ষণের মধ্যে দমকলের চারটি ইঞ্জিন পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
আগুন নেভানোর কাজে স্থানীয় বাসিন্দারা যে ভাবে এগিয়ে এসেছেন, তার প্রশংসা করেছেন কর্মীরা। আটকে থাকা এক কর্মীর কথায়, ‘‘ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময়ে প্রতিবেশীরা যে ভাবে হাত বাড়িয়েছেন, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ।’’
বন্ধ কারখানাটি কিনেছেন জনৈক রমেন খান। তাঁর দাবি, ‘‘কারখানা নতুন করে করা হচ্ছে। একতলায় ডিপ ফ্রিজ ছিল। এ দিন সেটি কাটার সময়ে কোনও ভাবে আগুন লাগে।’’ দমকলের অধিকর্তা তরুণ সিংহ বলেন, ‘‘পরিত্যক্ত কারখানাটির ভিতরে প্রচুর দাহ্য জিনিস মজুত ছিল। ঝালাইয়ের কাজ চলার সময়ে আগুনের ফুলকি এসে পড়ায় বিপত্তি বাধে।’’
এ দিনের ঘটনার পরে ডায়মন্ড হারবার রোডের একাংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশের মনসাতলা লেনও দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল। তবে রবিবার হওয়ায় তেমন যানজটের কবলে পড়তে হয়নি সাধারণ মানুষজনকে।