কেন্দ্রীয় সরকারের স্মার্ট সিটি মিশন প্রকল্প থেকে রাজ্য সরকার বেরিয়ে আসবে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। সেই জল্পনা এখনও অব্যাহত। এমনকী জল্পনা মিথ্যা বলেও কোনও সরকারি দাবি শোনা যায়নি। এই অবস্থায় স্মার্ট সিটির ধাঁচে বিধাননগরকে গড়ে তুলতে চাইছে পুর নিগম। সেই লক্ষ্যেই এ বার ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা ফিকির হাত ধরল পুর নিগম।
মঙ্গলবার বিধাননগর পুর নিগমের সঙ্গে মৌ সাক্ষর করে ফিকি। বিধাননগরের উন্নয়নে যে সব প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা করেছে পুর নিগম, তাতে সহযোগিতা করা, পরামর্শ দেওয়ার কাজ করবে ফিকি— এ দিন এমনটাই জানালেন ফিকির সভাপতি হর্ষ নেওটিয়া এবং বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত।
এ রাজ্যে এই প্রথম কোনও পুর নিগমের সঙ্গে এ ভাবে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চলেছে ফিকি— এমনটাই দাবি বিধাননগর পুর নিগমের। তবে ফিকির কর্মকর্তারা জানান, এ ভাবেই উন্নয়ন প্রকল্পে পরামর্শ দিতে পুণে, দেহরাদূন, কোটা, উদয়পুর-সহ একাধিক শহরের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে ফিকি।
ফিকি-র সভাপতি হর্ষ নেওটিয়া বলেন, ‘‘বিধাননগরের উন্নয়নে পুর নিগমকে পরামর্শ দেওয়া, এবং প্রকল্পগুলি কার্যকর করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার পরিকল্পনা নিয়ে মৌ সাক্ষরিত হল।’’
স্মার্ট সিটির ধাঁচে বিধাননগরকে গড়ে তুলতে পুর নিগমের খসড়া পরিকল্পনাও তৈরি হয়েছে। কিন্তু এতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা ঠিক কি হবে তা নিয়ে জল্পনা মেটেনি। তাই এমন অবস্থায় কী ভাবে পুর নিগম এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে?
বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত অবশ্য বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করছে।’’ ফিকির সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের তকমা পাব কি না, তা পরবর্তী বিষয়। কিন্তু আমরা আমাদের উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা কার্যকর করবই। সেই কাজে ফিকির পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে।’’
ফিকির সঙ্গে একযোগে কাজ করলে বিভিন্ন পথ খুলে যাবে বলেই আশা পুরকর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy