সমাধান দূর অস্ত্। — ফাইল চিত্র
কলকাতা পুরসভার পরিস্রুত জলের লাইন পৌঁছয়নি। তাই ভরসা আবাসনগুলির নিজস্ব গভীর নলকূপ বা পুরসভার বসানো নলকূপ। কিন্তু সেই জলে আয়রনের মাত্রা এত বেশি যে পরিস্রুত পানীয় জল কিনতে হয়। হরিদেবপুর, ক্যাওড়াপুকুর, কবরডাঙা, হরিদেবপুর-সহ বেহালার বেশ কিছু অংশের বাসিন্দাদের এমনই অভিযোগ। গ্রীষ্মে এই সমস্যা আরও বাড়ে বলে জানান বাসিন্দারা।
বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেন এমন এক ব্যবসায়ীর দাবি, এই অঞ্চলে তিনি প্রতি দিন একশোর বেশি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেন। কিন্তু দু’-তিন বছর আগেও ছবিটা এমন ছিল না বলে জানান বাসিন্দারা। পুরসভার নলকূপ বা গভীর নলকূপের জলই তাঁরা পান করতেন। কিন্তু আয়রনের মাত্রা জানার পরে অধিকাংশ বাসিন্দা বাড়িতে ফিল্টার বসান। বাসিন্দাদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফিল্টার সার্ভিসিং করাতে গিয়ে ধরা পড়ে আয়রন ফিল্টার হচ্ছে না। কারণ, জলে আয়রনের মাত্রা খুব বেশি।
শরীর খারাপ হওয়ার ভয়ে তাই ফিল্টারের ভরসায় না থেকে অধিকাংশ বাসিন্দা পরিস্রুত পানীয় জল কিনছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সুদেব রায় বলেন, ‘‘অধিকাংশ বাড়ির ফিল্টারের একই অবস্থা। এত আয়রন যে বার বার ফিল্টার সারাতে হচ্ছে। পাত্রে জল রাখলে লালচে হয়ে যায়।’’
যদিও পুর-নলকূপে আয়রনের মাত্রা বেশি বলে মানাতে নারাজ পুর-কর্তৃপক্ষ। কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের ডিজি বিভাস মাইতির কথায়, ‘‘ওই সব নলকূপ বসানোর আগে মাটির কোন স্তরে আয়রনের মাত্রা কম তা পরীক্ষা করে নেওয়া হয়।’’ ফলে ওই জলে অধিক মাত্রায় আয়রন থাকার আশঙ্কা কম বলেই দাবি বিভাসবাবুর। পাশাপাশি পুরসভার তরফ থেকে নলকূপগুলির জল কয়েক মাস অন্তর পরীক্ষা করানো হয়। বিভাসবাবু জানান, মূলত বহুতলের বাসিন্দারাই পরিস্রুত পানীয় জল কিনছেন।
কারণ, তাদের নিজস্ব গভীর নলকূপের জলে আয়রনের মাত্রা বেশি। তা ছাড়া প্যাকেজিং-ও একটা কারণ বলে মত বিভাসবাবু। তবে ধাপে ধাপে ওই সব অঞ্চলে পুরসভার পরিস্রুত জল পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানান পুর-কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy