Advertisement
১৯ মে ২০২৪

অভিযোগ দায়ের ছাত্রের পরিবারের

প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ পড়ুয়া সুশীল মান্ডির হদিস পেল না পুলিশ। সোমবার সুশীলের দাদা হারাধন মান্ডি বিষয়টি নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:২৫
Share: Save:

প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ পড়ুয়া সুশীল মান্ডির হদিস পেল না পুলিশ। সোমবার সুশীলের দাদা হারাধন মান্ডি বিষয়টি নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। পুলিশ জানায়, ফেসবুকে যে ছাত্রী সুশীলের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন, তিনি ও তাঁর কয়েক সহপাঠীর বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় এ দিন পাল্টা অভিযোগ করে সুশীলের পরিবার। এর জেরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ালে হাতাহাতিতে আহত হন এক পড়ুয়া।

পুলিশ জানায় ঘটনার শুরু ১৬ জানুয়ারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের শৌচালয়ের দরজা কেন সব সময়ে বন্ধ থাকে, তার প্রতিবাদ করে ছাত্র সংগঠন র‌্যাডিক্যাল ও ইউএসডিএফ। প্রতিবাদের কর্মসূচি হিসেবে শৌচালয়গুলির দরজার তালা ভাঙা শুরু করে তারা। ওই কর্মসূচিতে যোগ দেন সুশীলও। সেই সময়ে এক ছাত্রী সুশীলের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন। ফেসবুকেও ঘটনাটি পোস্ট করেন। ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় ইউএসডিএফ-এর ফেসবুক পেজেও। র‌্যাডিক্যালের এক সদস্য বলেন, ‘‘এর পরেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন সুশীল।’’

এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে সুশীলের দাদা হারাধন এবং র‌্যাডিক্যালের জুবি সাহা প্রশ্ন তোলেন, যদি কোনও ঘটনা ঘটেও থাকে, তা হলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস কমিটি (আইসিসি)’-কে না জানিয়ে কেন ফেসবুকে পোস্ট করা হল? পাঁচ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগে হারাধন জানান, নিয়ম মেনে অভিযোগ করার বদলে ফেসবুকে ঘটনার বিবরণ দেওয়ার জন্য সুশীলের সামাজিক সম্মানহানি হয়েছে। ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার পিছনে ওই কারণকে দায়ী করেন হারাধন।

সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হতেই দুই পড়ুয়ার মধ্যে হাতাহাতি হয়। ঘটনায় নাক ফাটে কৌস্তুভ মণ্ডল নামে এক পড়ুয়ার। কৌস্তুভ বলেন, ‘‘নিগৃহীতার পাশে থাকার জন্যই মারধর করা হল।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষের কাছেও অভিযোগ করা হয় র‌্যাডিক্যালের তরফে। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।’’ উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে ফোনে যোগাযাগ করা হলে বলেন, ‘‘আমি কলকাতার বাইরে। রেজিস্ট্রারের কাছে ঘটনাটি শুনেছি। মনে হচ্ছে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানা বিষয়টি দেখবে। স্বরাষ্ট্রসচিব এবং
পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি দেখতে অনুরোধ করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

FIR Sushil Mandi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE