সেই কারখানায় দমকলের কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
একটি তেলের কারখানায় আগুন লেগে গুরুতর জখম হলেন দুই শ্রমিক। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের হরিহরপুর পঞ্চায়েতের গোলামবাড়ি ধামনগর এলাকায়। আহতদের নাম গোবিন্দ রুইদাস এবং মনা মণ্ডল। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁদের প্রথমে বারুইপুর হাসপাতাল, পরে সেখান থেকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ওই কারখানায় আগুন লেগে বিকট শব্দে ফেটে যায় মেশিনের মোটর। কান ফাটানো আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। তার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, কারখানা থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে। মুহূর্তে আগুনের শিখা বেশ কিছুটা উপরে উঠে যায়। তখন প্রায় সাত-আট জন শ্রমিক ব্যারেলে তেল ভরার কাজ করছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন গুরুতর দগ্ধ হন। আগুন দেখে এলাকাবাসীই বারুইপুর থানা ও দমকলে খবর দেন। কিন্তু অভিযোগ, দমকল আসতে দেরি করে। ফলে স্থানীয়েরাই প্রথমে কারখানার মধ্যে থাকা জলের পাম্প চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিছু ক্ষণ পরে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। উত্তেজিত জনতা দমকলের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পুলিশ এসে সামাল দেয় পরিস্থিতি। দেরিতে আসার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে দমকল।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই কারখানায় পেট্রলিয়ামজাত রাসায়নিক মজুত করা থাকে। মোটরের মাধ্যমে তা শোধন করে তৈরি হয় কাটা তেল। যা ব্যবহার করা হয় অটো, ভ্যান-সহ বিভিন্ন যানবাহনে। ওই তেল আবার পরিশোধন করে ব্যারেলের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, কোনও শ্রমিকের জ্বালানো বিড়ি থেকে কারখানায় প্রথমে আগুন লাগে। প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় নিমেষে তা ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, কারখানার অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলেও সেটি কাজ করে না।
বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, এর আগেও ওই কারখানায় আগুন লেগেছিল। সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে সেখানে কাটা তেল তৈরি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, কারখানাটির বৈধ কাগজপত্র ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy