Advertisement
E-Paper

দখল হওয়া খালপাড়ে আবার আগুন, ফাটল সিলিন্ডার

বাগজোলা খালপাড় দখলমুক্ত করার পরিকল্পনা শুরু করেছে সেচ দফতর তথা প্রশাসন। এ নিয়ে জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া (২) পঞ্চায়েত এবং বিধাননগরপুরসভার সঙ্গে বৈঠকও করেছে সেচ দফতর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৫৫
শনিবার ভোরে বাগজোলা খালের পাড়ে আগুন লেগে পুড়ে যায় ১১টি ঝুপড়ি দোকান।

শনিবার ভোরে বাগজোলা খালের পাড়ে আগুন লেগে পুড়ে যায় ১১টি ঝুপড়ি দোকান। প্রতীকী চিত্র।

বাগজোলা খালের পাড়ে ঝুপড়ি দোকানে আবারও লাগল আগুন। বিধাননগর পুর এলাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন আদর্শপল্লির মৃধা মার্কেটে শনিবার ভোরে ওই আগুন লাগে। পুড়ে যায় ১১টি ঝুপড়ি দোকান। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

যদিও এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে, এমন বিপজ্জনক ভাবে কেন খালপাড় দখল করে বাজারবসতে দেবে প্রশাসন? স্থানীয়েরা জানান, একটি মুরগির দোকানে প্রথম আগুন লাগে। ওই সব ঝুপড়ি দোকানের মধ্যে রাখা ছিল গ্যাস সিলিন্ডারও। সেই সব সিলিন্ডার একের পর এক ফাটতে থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকানে। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ওই খালপাড়ে জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া (২) পঞ্চায়েতের অধীনে গৌরাঙ্গনগর ব্রিজের কাছে আগুনে কুড়িটির বেশি ঝুপড়ি দোকান পুড়ে গিয়েছিল।

বিধাননগর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে রয়েছে মৃধামার্কেট। স্থানীয় কাউন্সিলর মনোরঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্তব্যবসায়ীদের সাহায্য করা হচ্ছে। ওঁরা সকলেই খালপাড়ে ব্যবসা করেন। কিন্তু মানবিকতার খাতিরে ওঁদের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে।’’ ডিসেম্বরমাসে গৌরাঙ্গনগর এবং নিউ আদর্শনগরের দু’টি আগুনই লেগেছে ভোরের দিকে। তখন এলাকাফাঁকা ছিল। কিন্তু অতি ঘিঞ্জি বাগজোলা খালপাড়ে ওই ধরনের আগুন দিনের বেলায় লাগলেতার ভয়াবহতা কতটা হতে পারত, তা আন্দাজ করতে পারছেনস্থানীয় মানুষ।

যদিও বাগজোলা খালপাড় দখলমুক্ত করার পরিকল্পনা শুরু করেছে সেচ দফতর তথা প্রশাসন। এ নিয়ে জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া (২) পঞ্চায়েত এবং বিধাননগর পুরসভার সঙ্গে বৈঠকও করেছে সেচ দফতর। কিন্তু পুনর্বাসন ছাড়া দখলদারদের না সরানোর সরকারি নীতিতেই ভেস্তে যাচ্ছে প্রয়াস।

প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, ওই এলাকায় উদ্বাস্তুদেরএকটি বড় অংশ রয়েছেন। তাঁদের কোনও ভাবেই পুনর্বাসন ছাড়া সরানো সম্ভব নয়। তার বাইরে খালপাড়ে এমন বহু দোকান রয়েছে, যেগুলি ভাড়ায় চলে। সেগুলিরমালিকদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।কিন্তু যত দিন না এই সব জটছাড়ানো যাচ্ছে, তত দিন বাগজোলা খালের পাড় দখলমুক্ত করা যাবে না বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ফলে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আগামিদিনে যে এড়ানো যাবে, এমনটাও জোর দিয়ে বলতে পারছে না কোনও মহল।

Fire bagjola canal Fire Engine
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy