আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুজোর দিনগুলিতে আধুনিক মানের মোটরবাইকের উপরেবেশি করে ভরসা রাখছে দমকল দফতর। আগুন লাগলে রাস্তার ভিড় এড়িয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছতে মোটরবাইককের উপরেই জোর দিতে চাইছে তারা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা শহর-সহ কলকাতায় এমন ২০০টি মোটরবাইক রয়েছে। দমকল দফতর সূত্রের খবর, পুজোর আগে রাজ্যের জন্য আরও ৫০টি মোটরবাইক আসছে।
দমকলের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘যে কোনও আগুনপ্রথমেই নিয়ন্ত্রণে আনা গুরুত্বপূর্ণ। পুজোর সময়ে গলিতে ঢুকতে দমকলের বড় ইঞ্জিন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ক্ষেত্রেবড় ভরসা মোটরবাইক। ‘ওয়াটার মিস্ট’, ‘ফোম’ কাজে লাগিয়ে আগুনকে প্রথমেই বাগে আনা যাবে। মোটরবাইকের চালক ও আরোহী, দু’জনেই ফায়ার অপারেটর। আগুনের প্রাথমিক অবস্থায় ৪০ মিটারপাইপের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’’
দমকল দফতর সূত্রের খবর, কলকাতায় এমন ৫০টি মোটরবাইক রয়েছে। পুজোর আগেআসছে আরও ২৫টি মোটরবাইক। কলকাতায় ২০টি দমকল কেন্দ্র রয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে অস্থায়ী ভাবে অতিরিক্ত ২০টি দমকল কেন্দ্র তৈরি করা হবে। যেগুলি থাকবে বড় পুজো মণ্ডপের কাছাকাছি।
রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানান, শহরের বড় বড় পুজো কমিটির সদস্যদের জরুরি ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন দমকলের কর্মী-আধিকারিকেরা। শহরের ২৫টি পুজো মণ্ডপ চত্বরে কিয়স্ক গড়ে তোলা হবে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কিয়স্ক থেকে পুজোর দিনগুলিতে প্রচারও চলবে।
দমকলের আধিকারিকেরা আরও জানাচ্ছেন, শহরের বড় পুজো মণ্ডপগুলিতে ঢোকা-বেরোনোর পথ আলাদা রাখতে হবে। এর সঙ্গে দু’টি পথই ভিড়মুক্ত রাখতে বলা হয়েছে পুজোকর্তাদের।মণ্ডপের ভিতরে কোনও বৈদ্যুতিক ‘জয়েন্ট’ রাখা যাবে না। বিপদ এড়াতে সেই ‘জয়েন্ট’ মণ্ডপের বাইরে করতে বলা হয়েছে। মণ্ডপের মধ্যে কোনও দাহ্য বস্তু থাকলে সেগুলি অগ্নি-নিরোধক পদার্থে চুবিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
দমকলমন্ত্রী জানান, পুজোর মরসুমে রাজ্য জুড়ে অতিরিক্ত ৯৭টি অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র থাকছে। সেখানে সর্বক্ষণের কর্মী, জলের গাড়ি-সহ আগুন নেভানোর যাবতীয় সরঞ্জাম থাকবে। উৎসবের মরসুমে রাজ্যের ১৬৬টি স্থায়ী দমকল কেন্দ্রের আধিকারিকদের ২৪ ঘণ্টা সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)