Advertisement
২৪ মার্চ ২০২৩

গাড়ি নিয়ে ডাকাতি, ধৃত দম্পতি-সহ ৫

যেন হাওয়া খেতে বেরোত দু’জনে। পাইক-বরকন্দাজ নিয়ে। গাড়িতে চালকের আসনে স্বামী। পাশে স্ত্রী। গাড়ির দু’পাশে দু’টি মোটরবাইকে চার জন। শেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ার পরে জানা গেল, ওরা ‘ডাকাত দল’। নেতৃত্বে ওই দম্পতি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:০১
Share: Save:

যেন হাওয়া খেতে বেরোত দু’জনে। পাইক-বরকন্দাজ নিয়ে।

Advertisement

গাড়িতে চালকের আসনে স্বামী। পাশে স্ত্রী। গাড়ির দু’পাশে দু’টি মোটরবাইকে চার জন। শেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ার পরে জানা গেল, ওরা ‘ডাকাত দল’। নেতৃত্বে ওই দম্পতি।

গভীর রাতে টহলদার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ট্যাংরা থানার বাসিন্দা রেজ্জাক শেখ ও তার স্ত্রী লীলা এ ভাবেই ডাকাতি চালিয়ে যাচ্ছিল। সঙ্গে রেজ্জাকের ভাই মুসা ও তার দলবল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভাঙড় থানা এলাকা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও ভাঙড় থানার যৌথ পুলিশ বাহিনী ওই দম্পতি-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে এ পর্যন্ত তারা প্রায় ১২টি ডাকাতি করেছে।

এক তদন্তকারীর কথায়, রেস্তোরাঁ বা ডিস্কো থেকে যাওয়ার ঢঙে রাস্তায় পুলিশকে ধোঁকা দেওয়া। তার পরে দলের সঙ্গীদের ‘টাগের্ট’ করা বাড়িতে হানা দিয়ে ভোরে ফের পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ফিরে আসা— এই ছিল ডাকাতির ছক। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, ডাকাতির সময়ে গাড়িতেই বসে থাকত লীলা। রেজ্জাক ও মুসার দল ডাকাতি সেরে বেরোনোর পরে লুঠের মাল গাড়িতে রাখা হত। তার পরে ফেরা হতো ডেরায়।

Advertisement

বাস্তবের ‘বান্টি-বাবলি’র আলাপ অবশ্য জেলেই। জেল থেকে বেরিয়ে বিয়ের পরে তৈরি হয় ডাকাতির দল। ভাই মুসাকেও দলে নেয় রেজ্জাক। বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতারও হয়েছিল দু’ভাই। তার পরে প্রায় চার বছর জেলেই কাটে। ছাড়া পেয়ে ফের ডাকাতি শুরু।

শহরতলির কয়েকটি ডাকাতিতে এক মহিলা জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। কিন্তু তেমন কোনও সুত্র মিলছিল না। সম্প্রতি এক ডাকাতির ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতারের পরে ধৃতদের জেরায় রেজ্জাক, মুসা ও লীলার নাম পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘ধৃতদের জেরা করে ওরা আরও কোথায় কোথায় ডাকাতি করেছে, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। কলকাতায় কয়েকটি ঘটনায় ধৃতেরা জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃতদের কাছে ক্যামেরা, সোনার গয়না, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.