জমিয়ে এলাহি আয়োজনের ইচ্ছে আছে। কিন্তু তা করার লোক নেই। কারও আবার সময়ের অভাব। এমন মানুষজনই এ বার জামাইষষ্ঠী ও ইদে রসনার আয়োজন করতে পারেন অ্যাপের মাধ্যমে। রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের অ্যাপে ‘অর্ডার’ দিলেই রকমারি ব্যঞ্জন পৌঁছে যাবে বাড়িতে।
এ বছর ১৭ জুন ইদ। তার পরেই ১৯ জুন জামাইষষ্ঠী। এই দুই উৎসব উপলক্ষে এ বার ঘরে ঘরে রকমারি খাবার পৌঁছে দেওয়ার আয়োজন করেছে নিগম। ইদের দিন সেমুই, লাচ্চা, পরোটার স্বাদ পেতে নিগমের অ্যাপ (স্মার্টফিশ) ডাউনলোড করে অর্ডার দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে খাদ্যসম্ভার। এর সঙ্গে উপহার হিসাবে থাকবে ফিশ ফিঙ্গার। থাকবে ইলিশ, ভেটকি, চিংড়ি, বাসা, রুই, কাতলা মাছের নানা পদ। এমনকি ইলিশ, চিংড়ি, ভেটকি, বাসা মাছের বিরিয়ানিরও ব্যবস্থাও থাকবে।
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের কথায়, ‘‘ছোট ছোট পরিবারে মানুষের এখন সময়ের অভাব। বিশেষত কলকাতা ও শহরতলির বাসিন্দাদের পকেটে টাকা থাকলেও রান্না করার ফুরসত নেই। এই সব দিক মাথায় রেখেই এই আয়োজন।’’
জামাইষষ্ঠীর দিনেও আদরের জামাইকে পঞ্চব্যঞ্জনে থালা সাজিয়ে দিতে যাতে কোনও কষ্ট না পোহাতে হয় সে জন্যও সুবন্দোবস্ত থাকবে। নিগমের অ্যাপে দু’রকমের থালি মিলবে— ‘ঘটি জামাই’ ও ‘বাঙাল জামাই’। ঘটি জামাইয়ের থালিতে থাকছে ভাত, কলাইয়ের ডাল, আলু পোস্ত, পোস্তর বড়া, তেল কই, গলদা চিংড়ি ও সরষে ইলিশ। বাঙাল জামাইয়ের থালিতে পাওয়া যাবে ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক, ইলিশ পাতুড়ি, ইলিশ ভাপা, সরষে ইলিশ এবং পাবদা মাছের ঝোল। শেষ পাতে দেখা মিলবে দই, মিষ্টির। বাড়তি পাওনা চার রকমের ফল (আম, জাম, লিচু ও কাঁঠাল)।
রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌম্যজিৎ দাসের কথায়, ‘‘ইদ ও জামাইষষ্ঠীর দিনে নিগমের অ্যাপে অর্ডার দিলে সব খাবার মাটির পাত্রে সুন্দর ভাবে প্যাকেটবন্দি করে পৌঁছে দেওয়া হবে।’’ রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের কথায়, ‘‘এই অ্যাপের মাধ্যমে কলকাতা ও শহরতলির বাসিন্দারা উপকৃত হলেও আগামী দিনে আমরা সারা রাজ্যেই ছ়ড়িয়ে দেব।’’ ন্যায্য দামেই দুই উৎসবের আমেজ নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ। প্লেট প্রতি মূল্য ধার্য করা হয়েছে ২০০-৪০০ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy