জীর্ণ সেতু। —নিজস্ব চিত্র।
বছর দুয়েক আগে টলিনালার উপরে বেহালার ক্যানাল রোড থেকে টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড এবং কে পি রায় রোডের সংযোগস্থলে একটি ফুটব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তিতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ বার সেই প্রকল্পটি সরিয়ে কুঁদঘাটের নেতাজি মেট্রো স্টেশনের কাছে নিয়ে যাওয়া হল। টালিনালার উপরে ফুটব্রিজটি তৈরি হলে কুঁদঘাট সংলগ্ন পূর্ব-পুটিয়ারি এবং পশ্চিম পুটিয়ারির বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যেখানে এই প্রকল্প তৈরির কথা ছিল সেখানে না হয়ে ওই প্রকল্পই অন্য জায়গায় করা হচ্ছে। এর ফলে, স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতে সুবিধা হবে।’’
পুরসভার এক আধিকারিক জানান, ক্যানাল রোড এবং কে পি রায় রোডে টালিনালার ধার বরাবর অনেক বসতি আছে। বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা ছিল, এখানে ফুটব্রিজ তৈরি হলে তাঁদের বাড়ির ক্ষতি হবে। তাঁরা পুরসভাকে এই ব্যাপারে জানান। এর পরেই প্রকল্পটি আটকে যায়। পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার প্ল্যানিং এবং ডেভেলপমেন্ট দফতর এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিল। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দও করেছিল পুরসভা।
কলকাতা পুরসভার নির্বাচনের আগেই এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার জন্য ফের নড়েচড়ে বসেন পুর-কর্তৃপক্ষ। তখনই ফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই প্রকল্পটি স্থানান্তরিত করা হবে। বর্তমানে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ নেতাজি মেট্রো স্টেশন (কুঁদঘাট) সংলগ্ন একটি পার্কিং প্লেসের ব্যবস্থা করেছে। সেখান দিয়েই অনেকে টালি নালা পারাপার করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাটির চেয়ে উঁচুতে থাকায় পারাপারে অসুবিধা হয়। সাইকেল এবং মোটরবাইক নিয়ে যেতেও অসুবিধা হয়।
পুরসভার সূত্রে খবর, অনেক দিন আগেই বর্তমান নেতাজি মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি ফুটব্রিজ ছিল। সেটি তৈরি করে সেচ দফতর। ফুটব্রিজটির অবস্থা খুব খারাপ। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা বর্তমান পুরবোর্ডে তৃণমূলের মুখ্য সচেতক রত্না শূর বলেল, ‘‘ফুটব্রিজটির অবস্থা এখন খুবই খারাপ। তাই পুরসভা পারাপার বন্ধ রেখেছে। এখানে একটি নতুন ফুটব্রিজ তৈরির দাবি রয়েছে। ঠিক এখানেই নতুন ফুটব্রিজ তৈরি হবে।’’
পুরসভার প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট দফতর ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য সমীক্ষা করেছে। প্রকল্পটির জন্য দরপত্রও চাওয়া হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যেই এই কাজ শুরু হবে। তবে এখানে ফুটব্রিজের ‘অ্যাপ্রোচ’ রোড তৈরির জন্য বেশ কিছুটা জায়গা লাগবে। সেচ দফতরের সঙ্গেও এই বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে বলেও আধিকারিকরা জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy