Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বারাসত-টাকি রোডের পাশে অবশেষে বসছে গাছ

সূত্রের খবর, ওই রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য কাটা হয়েছিল হাজারেরও বেশি পুরনো গাছ। প্রতিবাদে পথে নামেন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ‘গাছ বাঁচাও কমিটি’-র সদস্যেরা।

এই ভাবেই নির্বিচারে বারাসত-টাকি রোডে চলছিল গাছ কাটার কাজ। ফাইল চিত্র

এই ভাবেই নির্বিচারে বারাসত-টাকি রোডে চলছিল গাছ কাটার কাজ। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৪২
Share: Save:

গত ১২ বছরে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ বিভিন্ন রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় গাছ কাটা হয়েছে হাজার-হাজার। পরিবর্তে পোঁতা হয়নি কোনও গাছ। বহু বিতর্ক, আন্দোলনের পরে অবশেষে এই প্রথম বারাসত-টাকি রোডের দু’ধারে গাছ পোঁতা শুরু করল বন ও পূর্ত দফতর।

সূত্রের খবর, ওই রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য কাটা হয়েছিল হাজারেরও বেশি পুরনো গাছ। প্রতিবাদে পথে নামেন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ‘গাছ বাঁচাও কমিটি’-র সদস্যেরা। গাছ আগলে রেখে বাধা দেন মহিলারাও। লাগাতার বিক্ষোভ দেখিয়েও বন্ধ করা যায়নি গাছ কাটা। তার উপরে রাস্তা সম্প্রসারণের প্রথম পর্যায়ে ২১ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে আড়াই বছরে ১২ কিলোমিটারের কাজ হয়েছে। ফলে কাজের গতি ও গুণগত মান নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে এলাকায়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বারাসত থেকে বেড়াচাঁপার অম্বিকানগর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার রাস্তার ধারে গাছ কাটার ফলে ধূ-ধূ করছে এলাকা।

সোমবার থেকে ওই রাস্তার কদম্বগাছি থেকে বেড়াচাঁপা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তার দু’ধারে ৪ হাজার ৪০০টি গাছ পোঁতা শুরু হয়েছে। গাছের চারপাশে মশারি দিয়ে ঘিরেও দেওয়া চলছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আম, জাম, কাঁঠাল, বেল, অর্জুন, জারুল, নিম, আকাশমণি ও মেহগনির চারা বসানো হচ্ছে। গাছ যাতে বাঁচে তার জন্য একটু বড় চারা বাছা হয়েছে। দু’টি চারার মধ্যে জায়গা থাকছে আট

থেকে দশ ফুট। জেলা বনাধিকারিক অংশুমান মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘যে সব সংস্থা অতীতে রাস্তা বা উন্নয়নের জন্য গাছ কেটেছে তাদের গাছ পোঁতার ব্যাপারে জানতে চেয়ে নোটিস দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tree Plantation Forest Department PWD
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE